দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশের মত চট্টগ্রামের ১৬ আসনেও ভোটগ্রহণ চলছে। আজ রবিবার সকাল ৮টায় মহানগরী ও জেলার ১৬ আসনে ২ হাজার ২৩টি কেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ১৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৫ জন প্রার্থী।
সকাল থেকে নগরীর কয়েকটি কেন্দ্রে সারিবদ্ধ হয়ে ভোট দিতে দাঁড়াতে দেখা গেলেও কিছু কিছু কেন্দ্রে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোটারদের তেমন উপস্থিতি চোখে পড়েনি। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিতি বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সকালে প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নির্বাচন কেন্দ্রিক কোনো ধরনের সহিংসতার খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে সকাল ৯টা নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১২৫ জন প্রার্থী। তবে সবার দৃষ্টি আওয়ামী লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ঘিরে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে অন্তত ১০টি আসনে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ভোটযুদ্ধে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন তাঁরা। তাঁদের কারণে নৌকা প্রতীক পেলেও সহজ জয়ের পথে ‘চ্যালেঞ্জ’-এ পড়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, তৃণমূল বিএনপি, সুপ্রিম পার্টি, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট, কল্যাণ পার্টিসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী রয়েছেন ভোটের মাঠে।

চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে এবার মোট ভোটার ৬৩ লাখ ১৪ হাজার ৩৯৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ৫৯০ জন, নারী ভোটার ৩০ লাখ ২৪ হাজার ৭৫১ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৫৬ জন।
চট্টগ্রামের সব আসন মিলিয়ে মোট ভোটকেন্দ্র ২০২৩টি এবং ভোটগ্রহণ কক্ষ ১৩ হাজার ৭৩২টি। প্রিজাইডিং, সহকারী প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৪৩ হাজার ২১৯ জন। ১০ শতাংশ অতিরিক্তসহ ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকছেন মোট ৪৭ হাজার ৫৪৪ জন।
জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। আশা করছি কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়াই নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে পারবো।
তিনি বলেন, নির্বাচন ঘিরে এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি টহলে থাকবে র্যাবের টহল টিম। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটরা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করছেন।