
যে কোনো দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় প্রথম সাড়াদানকারী সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স। গতি, সেবা ও ত্যাগের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে এ বিভাগের কর্মীরা দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মানুষের সেবায় নিয়োজিত। প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বমানে উন্নীত করতে বর্তমান সরকার নানামুখী কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বর্তমানে সারাদেশ জুড়ে ৫০৬ টি ফায়ার স্টেশন চালু রয়েছে। দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে স্টেশনের সংখ্যা। ।দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন নির্মাণে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী ঘোষণা বাস্তবায়নে ইতিমধ্যেই আরও ১৫৬টি ফায়ার স্টেশন নির্মাণ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এছাড়া যে কোন দুর্ঘটনায় রোগী বহন করতে ১০১ টি এম্বুল্যান্স প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে।
প্রাতিক দুর্যোগ-দুর্ঘটনায় জীবন ও সম্পদ রক্ষার মাধ্যমে নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং নাগরিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সরকারের শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সক্ষমতা অর্জন করাই সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। আর সে লক্ষ্য অর্জনে গতি, সেবা ও ত্যাগের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স বিভাগের কর্মীরা দিনরাত ২৪ ঘণ্টা মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছেন।

দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করতে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ৬২ হাজার আরবান ভলান্টিয়ার তৈরির কার্যক্রম পরিকল্পনা মাফিক এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ হাজার প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবক তৈরি হয়েছে। তাদের জন্য উদ্ধার সরঞ্জাম সংগ্রহের প্রক্রিয়াও গ্রহণ করা হয়েছে। বস্তির আগুন নির্বাপণের জন্য বস্তিবাসীদের প্রশিক্ষণ দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে প্রায় ৯০০ স্বেচ্ছাসেবক।
নৌ দুর্ঘটনায় ডুবুরি হিসেবে কাজ করার জন্য আগ্রহী স্বেচ্ছাসেবকদের দেওয়া হয়েছে ডুবুরি প্রশিক্ষণ। আধুনিক সাজ-সরঞ্জামে পর্যায়ক্রমে সমৃদ্ধ হচ্ছে এই সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। প্রশিক্ষণের মান উন্নয়নের জন্য বিদ্যমান ট্রেনিং কমপ্লেক্সকে যুগোপযোগী ট্রেনিং একাডেমিতে রূপান্তর এবং বৃহৎ পরিসরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সদইচ্ছায় বিভাগের জন্য একটি বার্ন ট্রিটমেন্ট হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন ফায়ার স্টেশন নির্মাণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অগ্নি প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে সরকারি-বেসরকারি অফিস, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও শিল্প কারখানায় নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও পরিদর্শন কার্যক্রম এবং পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ব্যবসায়ী ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদের সুবিধার্থে পরিচালনা করা হচ্ছে ফায়ার লাইসেন্স মেলা। এসব উদ্যোগ অত্র অধিদপ্তরকে সাফল্যের পথে এগিয়ে নেওয়ার নিরন্তর প্রয়াস।

নিজেদের জীবন বাজি রেখে প্রতিনিয়ত দেশ জাতির জীবন রক্ষা ও দেশের সম্পদ রক্ষায় সদা নিয়জিত মানুষগুলো সাফল্যের পুরস্কারের বদলে জোটে নানান তিরস্কার ও ষড়যন্ত্র। ঘরে বাইরে নানা প্রতিকুলতা মোকাবেলা করতে হয় তাদের।
কর্মক্ষেত্রে সাফল্যকে ম্লান করে দিতে একটি অসাধুচক্র মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তারা মাঝে মাঝেই ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্মকর্তাদের নামে মনগড়া কল্প কাহিনী গণমাধ্যমে সংবাদ আকারে প্রকাশ করে অনৈতিক সুবিধা আদায় করতে চাইছেন। মহাপরিচালকের পর তাদের টার্গেটে পড়েছেন প্রতিষ্ঠানটির উপ-পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মো: জসীম উদ্দিন।

এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের নিবেদিত প্রান কর্মকর্তাদের দাবী, সুনামধন্য এই কর্মকর্তার সুনাম ক্ষুন্নের উদ্দেশ্য তাকে জড়িয়ে পরিকল্পিত অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি কুচক্রী মহল। দীর্ঘদিন যাবৎ অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সাথে নিজ দ্বায়িত্ব পালন করে আসছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মো: জসীম উদ্দীন। তিনি সততা আর নিষ্ঠার সাথে দ্বায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। চাকুরী জীবনে অন্যায়ের সাথে কখনো আপোষ করেননি। আর এ কারণেই একটি কুচক্রী মহল তাদের অন্যায় আবদার এবং কাঙ্খিত স্বার্থ হাসিল করতে না পেরে সাংবাদিকদের কাছে মিথ্যা কল্পকাহিনী প্রদান করা হয়েছে।
তিনি পার্বত্য এলাকা, কক্সবাজার, পটিয়া,চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, রংপুরে কর্মরত ছিলেন এবং বর্তমানে ঢাকায় অধিদপ্তরে কর্মরত আছেন।
কুমিল্লা কর্মকালীন সময়ে মাননীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযুদ্ধা আ.ক.ম. বাহাউদ্দিন বাহারের সাথে করোনাকালীন সময়ে জনগণকে সেবা দিতে গিয়ে তিনি নিজেই করোনায় আক্রান্ত হন। সারাদেশে সফলতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালনকারী একাধিক পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, মিডিয়াবন্ধব জসিম উদ্দিন নিজেই এখন মিডিয়ার অপপ্রচারের শিকার হচ্ছেন।
এ বিষয়ে উপ-পরিচালক মো: জসিম উদ্দিন বলেন, সরকারি চাকুরী করলে রদবদল,বদলি একটি চলমান নিয়ম প্রক্রিয়া। যা সকল কর্মকর্তা বা কর্মচারীর ক্ষেত্রে হতে পারে, কেউ চিরদিন একই জায়গায় চাকুরী করতে পারেনা। কেউ অপছন্দের জায়গায় বদলি হলেই উর্ধতন কর্মকর্তা খারাপ/ দূর্নীতিগ্রস্থ বা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাতে হবে এটা ঠিক না। তাই অন্যায় আবদার থেকে সকলের দূরে থাকা উচিত।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়াধীন একটি জরুরি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। আমি কোনও দূর্নীতি বা অন্যায় কাজের সাথে জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদগুলো মিথ্যা বানোয়াটএবং একটি কুচাক্র মহলের পরিকল্পিত অপপ্রচার। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে “ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিমের যৌন হায়রানি ও দুর্নীতি” শিরোনামে যে সব ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তা, ঐ কুচক্রী মহলের অপপ্রচারের বহিঃপ্রকাশ মাত্র। সংবাদটি পড়লে বোঝা যায় এটি কর্মকর্তা মো: জসিম উদ্দিনের সম্মানহানী করার হীন উদ্দেশ্য এবং স্বীয় স্বার্থ হাসিল করতে করা হয়েছে। যার সাথে সত্যের লেশ মাত্র নেই। ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট এবং ভিত্তিহীন। আমরা ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা-প্রতিবাদ এবং ঘৃণা প্রকাশ করছি।
বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কর্মদক্ষতায় এবং বুদ্ধিদীপ্ত নির্দেশনায় প্রচেষ্টায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মানুষের কাছে একটি বিশ্বস্থ ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানে রুপ নিয়েছে। কোন অপপ্রচারে এই প্রতিষ্ঠানের ভাবমুর্তি কোন ভাবেই যেন ক্ষুন্ন না হয় সে বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য সকল মহলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।