নিজস্ব প্রতিবেদক :
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ব্যাটারিচালিত অটো রিকশা আটক করার কারণে ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মইজ্জ্যারটেক গোলচত্বর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলায় ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আল আমিন ধাক্কা মেরে কনস্টেবল মো. আনোয়ার হোসেনকে কিল ঘুষি মারে ২০/ ২৫ জনের একটি অজ্ঞাতনামা সংঘবদ্ধ দল।
এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক বন্দর ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট ভুক্তভোগী আল আমিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত ২০-২৫ জনকে আসামি করে কর্ণফুলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরপরই ভিডিও ফুটেজ দেখে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। পরে জিজ্ঞাসাবাদের পর একজনকে ছেড়ে দিয়েছে।
গ্রেপ্তার দুইজন হলেন-শিকলবাহার মৃত জরিফ আলীর ছেলে আবুল কালাম (৫০) ও একই এলাকার আব্দুল হকের ছেলে মো সালা উদ্দিন (২৪)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেন।
ট্রাফিক পুলিশ ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সোমবার সকালে বন্দর বিভাগের সার্জেন্ট আল আমিন যানজট নিরসনে মইজ্জ্যারটেকে ডিউটি করেছিলেন। এ সময় একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা আটক করেন। স্বভাবতই মহাসড়কে ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু আটকের পরপরেই হঠাৎ অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জন লোক উত্তেজিত হয়ে সার্জেন্ট আল আমিন ও তার সহকর্মীদের অশালিন ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন।
এক পর্যায়ে উত্তেজিত ওই লোকগুলো সার্জেন্টকে ধাক্কা মেরে তাঁর ইউনিফর্মে থাকা বডিওর্ন ক্যামেরাসহ গাড়ীর আটকের সিসি বই রাস্তায় ফেলে দেন। তখন পাশে থাকা ট্রাফিক পুলিশের অপর সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন ওসব যন্ত্রপাতি কুড়িয়ে নিতে গেলে তাকেও কিল ঘুষি মারেন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক কর্ণফুলী থানার মোবাইল পার্টি ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্তরা দ্রুত পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মামলার বাদি মো. আল আমিন বলেন, আটক ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি রেকার চালকের মাধ্যমে সদরঘাট ডাম্পিং স্টেশনে প্রেরণ করা হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। কয়েকজন গ্রেপ্তারও হয়েছেন। একই কথা জানালেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. মোবারক হোসেনও।
অপরদিকে ঘটনার প্রতিবাদে সকাল ১১টার দিকে আবার স্থানীয় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশা চালকরা মইজ্জ্যারটেক মোড়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন। যদিও বেশিক্ষণ স্থায়ী ছিলো না মিছিলটি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কর্ণফুলী থানার ওসি মো. জহির হোসেন বলেন, ট্রাফিক পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ভিডিও ফুটেজ দেখে এখন পর্যন্ত দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।