
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশসানের সাথে শিক্ষর্থীদের বৈঠক শেষে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানান শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত উপাচার্য ও উপ- উপাচার্যের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আন্দোলনকারী ২০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
বৈঠক শেষে অবরোধ তুলে নেওয়া হলে রাত সাড়ে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে যান চলাচল শুরু হয়। কর্মসূচি স্থগিত করার পর শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রাতে চুয়েট প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির এক বিবৃতিতে বলেন, একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণার ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনা করার জন্য শুক্রবার অনুষ্ঠিতব্য সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত হবে। ততক্ষণ হলগুলোতে শিক্ষার্থীরা থাকতে পারবেন।
এর আগে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের জের ধরে অনির্দিষ্টকালের জন্য চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বৃহস্পতিবার একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে বিকেল চারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়।
একই সঙ্গে বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্র ও শুক্রবার সকাল নয়টার মধ্যে ছাত্রীদের হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন সিদ্ধান্ত প্রত্যাখান করে হল না ছাড়ার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবাদে তারা শাহ আমানত পরিবহনের আটকে রাখা দুটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে তার কার্যালয়ে অবরুদ্ধ করে রাখেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলে কাপ্তাই সড়কে আমানত পরিবহনেরের একটি বাসের ধাক্কায় চুয়েটের ৩ শিক্ষার্থী আহত হয়। পরে ২ জন মারা যায়। ঘটনার প্রতিবাদে ও ১০ দফা দাবীতে বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ, গাড়ী ভাঙচুর ও গাড়ীতে আগুন দিয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।