বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর খিলক্ষেত থানায় মামলা করেছে রংধনু গ্রুপ।
আজ বুধবার (১ মে) রাতে বিডিনিউজ এ তথ্য জানায়।
এক প্রতিবেদনে বিডিনিউজ বলছে, রংধনু গ্রুপের মালিকানাধীন একটি জমিতে ঢুকে নিরাপত্তাকর্মীদের মারধর করে ৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি এবং এক নিরাপত্তাকর্মীর ১৬ হাজার টাকা ও ১৮ হাজার টাকা দামের মোবাইল ছিনতাইয়ের অভিযোগ করা হয়েছে মামলায়। এর আগে মঙ্গলবার রংধনু গ্রুপের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ সোহেল রানা খিলক্ষেত থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
খিলক্ষেত থানা ওসি হুমায়ুন কবীর জানান, এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। কোনো গ্রেপ্তার নেই। সায়েম সোবহান ছাড়া জামাল হোসেন মিয়া, আমিনুল, মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া ও দুলালের নাম রয়েছে আসামির তালিকায়। এছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় এক থেকে দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বসুন্ধরা গ্রুপের সঙ্গে রংধনু গ্রুপের ‘দীর্ঘদিনের ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের’ কারণে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরের ‘নির্দেশে’ তাদের কিছু লোকজন রংধনু গ্রুপের কাছে ‘৫০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি’ করে আসছে।
এর আগে তারা খিলক্ষেতের বড়ুয়া মৌজায় রংধনু গ্রুপের একটি জমি জবরদখল করার চেষ্টা করলে রংধনু গ্রুপের পক্ষ থেকে গত ৬ এপ্রিল খিলক্ষেত থানায় মামলা করা হয়। এই দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতায় গত সোমবার বেলা আড়াইটার দিকে বিবাদী সায়েম সোবহান আনভীরের উপস্থিতিতে এক থেকে দেড়শ লোক রংধনু গ্রুপের জমিটি দখলের জন্য লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে গিয়ে রংধনু গ্রুপের সিকিউরিটি গার্ড শাহ আলমকে বেধড়ক মারধর করে।
তারা সেখানে রংধনু গ্রুপের বিলবোর্ডটি ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে রংধনু গ্রুপের সিকিউরিটি ইনচার্জ শামসুল হক সেখানে গেলে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলা হয়, ‘তোর চেয়ারম্যানকে বলবি, ৫০ কোটি টাকা চাঁদা না দিলে এই জমিতে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। এটা আনভীর ভাইয়ের অর্ডার। এরপর তাকে মারধর করে তার মানিব্যাগে থাকা ১৬ হাজার ২৫০ টাকা এবং একটি ১৮ হাজার টাকা দামের ভিভো মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায় আসামিরা। পরে খিলক্ষেত থানার পুলিশ এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়।