মধ্য গাজায় জাতিসংঘের একটি স্কুলে হামলা চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবারের (৬ জুন) এ হামলায় অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো বেশ কয়েকজন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, নুসিরাত এলাকায় একটি ইউএনআরডব্লিউএ (UNRWA) স্কুলের অভ্যন্তরে হামাসের একটি ঘাটিতে জঙ্গি বিমান থেকে সুনির্দিষ্ট হামলা চালিয়েছে। এতে কয়েকজন সন্ত্রাসীকে “নির্মূল” করতে সক্ষম হয়েছে।
হামাস একে “ভয়াবহ গণহত্যা” বলে আখ্যায়িত করে। তারা এই হত্যাযজ্ঞ “মানবতাকে লজ্জা দিয়েছে” বলে বর্ণনা করেছে।
দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় ৮ মাস ধরে চলা সংঘাতে ৩৬ হাজার ৫৮৬ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছে আরো ৮৩ হাজার ৭৪ জন। গাজায় সংঘাত বন্ধের কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। এভাবে সংঘাত চলতে থাকলে আরও কয়েক হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারাবে।
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তি এবং তাদের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সম্মত হওয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। তবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা প্রধান বলেছেন, যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময় হামলা থামানো হবে না।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েল লেবানন সীমান্তে তীব্র অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুত। সেখানে প্রায় আট মাস ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায়ই সংঘাতের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর তাণ্ডবে প্রতিদিনই নিরীহ ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ, শিশু নিহত হচ্ছে। গাজায় কোনো স্থানই এখন আর বসবাসের যোগ্য নেই। অবরুদ্ধ এই উপত্যকাকে এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।