
বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদরা এখন ইতিহাসবিদ হয়ে গেছে। তারা ইতিহাসকে বিকৃত করে প্রপাঘন্টা ছড়াচ্ছেন। সত্যিকারের ইতিহাস জানতে দিচ্ছে না।
তিনি আজ শুক্রবার বিকেলে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে সামনে মহানগর বিএনপি’র উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে বিশিষ্ট কলামিষ্ট ও সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ’র লেখা বইয়ের মোড়ক উম্মোচন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ উন্নয়নের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করছে। দেশে কঠিন সময় বিরাজ করছে। যেখানে ইতিহাস বিকৃত হয় সেখানে সত্যিকারের ইতিহাস জানা কঠিন। মাহফুজ উল্লাহ সাহেব সেই দিক দিয়ে সফল হয়েছেন।
তিনি জিয়াউর রহমানকে নিয়ে সত্যিকারের অর্থে একটি বই লিখতে পেরেছেন। জনাব খসরু আরো বলেন, গণতন্ত্র ছাড়া উন্নয়ন সম্ভব নয়। যা প্রমাণ বর্তমানে দেশে চারিদিক চরম অবস্থা বিরাজ করছে। দেশে বিনিয়োগ নেই, মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে, অর্থনীতির অবস্থা শোচনীয়। জনগণ ভোটাধিকার হারিয়েছে। এ অবস্থায় একটি দেশ চলতে পারে না।
প্রধান আলোচকের বক্তব্যে, বিশিষ্ট কলামিষ্ট, সাংবাদিক ও বইয়ের লেখক মাহফুজ উল্লাহ বলেন, দেশে শাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। দেশ পুলিশী রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, পুলিশ যা বলছে তা মানতে হচ্ছে। তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানকে নিয়ে লেখা এই বইটিতে তাঁর রাজনৈতিক, ব্যক্তিগত, আন্তর্জাতিক নীতিসহ বিভিন্ন বিষয় জানতে পারবেন। জিয়াউর রহমান বিভিন্ন কারণে দেশের মানুষের কাছে অমর হয়ে থাকবেন।
তিনি আরো বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ও জিয়াউর রহমানের সাথে তুলনা করবেন না। দুইজন দুই ধারার ভিন্ন ভিন্ন মানুষ। আওয়ামী লীগ এর সমালোচনায় প্রমাণ করে বিএনপি অনেক বড় শক্তিশালী দল। জিয়াউর রহমান দেশের মানুষকে জাতীয়তাবাদীর স্বপ্ন দেখিয়ে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে গেছেন। তিনি চাইলে দীর্ঘদিন নির্বাচন না দিয়ে শাসন করতে পারতেন কিন্তু তিনি তা না করে নির্বাচন দিয়ে দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রর্বতন করেন। জিয়া সকল দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনের মাধ্যমে সকল দলকে সংসদে আসার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান দুইজন যোগ্য উত্তরাধিকার রেখে গেছেন। একজন হচ্ছেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া-যিনি গৃহবধু থেকে রাজনীতিতে এসে সফল হয়েছেন, আরেকজন হচ্ছেন তারেক রহমান-যিনি আগামী দিনে দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।
সভাপতির বক্তব্যে মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বাংলাদেশকে জানতে হলে জিয়াকে জানতে হবে। জাতীয়তাবাদী প্রবর্তনের মধ্য দিয়ে জিয়া ঐক্যের রাজনীতি করেছেন। জিয়া একজন রাষ্ট্র নায়ক হয়েও সাধারণ মানুষের মত জীবনযাপন করেছেন। জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে দেশের ইতিহাস রচনা হবে না।
অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্যে রাখেন, মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ সভাপতি আবু সুফিয়ান,
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি এডভোকেট কফিল উদ্দিন চৌধুরী, পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা: খুরশীদ জামিল, বিশিষ্ট সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, ইঞ্জিনিয়ার এসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী কাজী সুফিয়ান, আইনজীবি এডভোকেট মফিজুল হক ভুইয়া, প্রকৌশলী জানে আলম সেলিম, ডা: মো: ইসা সহ মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।