সাত দিন পার হয়ে গেলেও সেন্টমার্টিনের সাথে দেশের মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ সচল করা সম্ভব হয়নি। গত বৃহস্পতিবার (৬ জুন) টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে চলাচলকারী কয়েকটি ট্রলারকে লক্ষ্য করে মিয়ানমার থেকে গুলি ছোড়া হয়। ঘটনাগুলো ঘটে সীমান্তবর্তী নাফ নদীর মোহনায় । এরপর থেকে সেন্টমার্টিনের পথে কোনো নৌযান ছেড়ে যায়নি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় দ্বীপটিতে মজুদকৃত খাদ্যদ্রব্যও প্রায় শেষের পথে। এতে বিপাকে পড়েছে স্থানীয়রা।
পুরো দ্বীপটি নিয়ে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদ। ইউপি চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান জানান, ট্রলার ও স্পিডবোট চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছে। টেকনাফের সাথে যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ। এতে দ্বীপের বাসিন্দারা তীব্র খাদ্য সংকটে পড়েছে। যে পরিমাণ চাল মজুদ আছে তাতে সর্বোচ্চ দুই থেকে একদিন চলতে পারে। কাচা সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আগেই শেষ হয়ে গেছে। দ্রব্যমূল্য বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে খাদ্য সংকট আরও চরম আকার ধারণ করতে পারে বলেও জানান তিনি।
খাদ্য ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল করতে না পারায় দ্বীপের দোকানগুলোতে মজুদ করা খাদ্যপণ্যও শেষ হতে চলেছে। এ সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পণ্যের দাম দ্বিগুণ নিচ্ছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে। দ্রুত সামাধান না হলে দ্বীপবাসীর খাদ্য, চিকিৎসাসহ অন্যান্য সমস্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
উল্লেখ্য, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে চলাচলের জন্য বিকল্প রুট খোঁজা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. শাহিন ইমরান। সবশেষ মঙ্গলবার টেকনাফ থেকে একটি স্পিডবোট দ্বীপটিতে যাওয়ার পথে নাফ নদী পেরিয়ে সাগরের ঘোলচর এলাকায় পৌঁছালে গুলিবর্ষণের শিকার হয়।