চলমান গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া ৩ ছেলেসহ ৬০ স্বজন হারিয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) ইরানের রাজধানী তেহরানে এক হামলায় প্রাণ হারালেন হানিয়া নিজেও।
এ বছরের এপ্রিলে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন গাজার পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে নিহত হন হামাস নেতা হানিয়ার তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল হানিয়া এবং তার অন্তত তিন নাতি-নাতনি।
হামলার সময় কাতারে ছিলেন হানিয়া। সেখান থেকেই কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরাকে এক টেলিফোন সাক্ষাৎকারে বলেন, যুদ্ধের মধ্যে তার ছেলেরা গাজায় অবস্থান করছিলেন। পবিত্র ঈদ উপলক্ষে তারা শাতি শরণার্থীশিবিরে স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেখানেই দখলদার বাহিনীর হামলার শিকার হন তারা।
এর আগে ফেব্রুয়ারি ও গত বছরের অক্টোবর মাসে ইসরায়েলের হামলায় হানিয়ার ভাই, ভাতিজাসহ বেশ কয়েকজন স্বজন প্রাণ হারান। গত বছরের নভেম্বরেও তার এক নাতি নিহত হন। এপ্রিলে আল–জাজিরাকে দেয়া ওই সাক্ষাৎকারে ইসমাইল হানিয়া জানান, অক্টোবরে শুরু হওয়া এই এক যুদ্ধেই তার অন্তত ৬০ জন স্বজন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে তার ছেলে, ভাই, নাতি, ভাতিজা, ভাগনে রয়েছেন।
তেহরানে হানিয়ার ওপর হামলায় কে জড়িত, তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো জানা যায়নি। হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইরানে গিয়েছিলেন হানিয়া। এই হত্যার জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে হামাস। আর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের খানানি বলেছেন, হানিয়ার রক্ত কখনোই বৃথা যাবে না।