ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বিদ্যালয়ে একই পরিবারের ১৭ জন নিয়োগের ঘটনায় লিগ্যাল নোটিশ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক অনন্ত কুমার রায়ের বিরুদ্ধে পরিবারের সদস্যদের অবৈধ নিয়োগ ও দুর্নীতির অভিযোগে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। উপজেলার কিশামত বীরচরন গ্রামের বাসিন্দা মো. আইয়ুব আলীর পক্ষে এই নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া।

এর আগে গত ২ সেপ্টেম্বর নীলফামারীর কিশোরগঞ্জের একটি বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক থেকে আয়া পর্যন্ত একই পরিবারের ১৭ জন কর্মরত রয়েছেন- এমন একটি তালিকা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে তা নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।

লিগ্যাল নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে, কিশোরগঞ্জ উপজেলার রণচন্ডি ইউনিয়নের কবিরাজের বাজারে অবস্থিত কিশামত বদি উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রায় এক একর জমির ওপরে ১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা হয় ২০০২ সালে। বিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে জমিদাতা কুলোদা মোহন রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করা হয়। তৎকালীন সভাপতি কুলোদা মোহন রায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে অনন্ত কুমারকে প্রধানশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেন। প্রধানশিক্ষক অনন্ত কুমার নিয়োগ পাওয়ায় পর প্রতিষ্ঠানে নিজের আধিপত্য বিস্তারের জন্য কোনো নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে নিজের ভাই, স্ত্রী, ভাইয়ের স্ত্রীসহ পরিবারের লোকজনকে নিয়োগ পাইয়ে দেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কুলোদা মোহন রায়ের মৃত্যুর পর প্রধানশিক্ষক নিজের আধিপত্য ধরে রাখার জন্য প্রতিষ্ঠাতা সভাপতির ছেলে বিমল চন্দ্র রায়কে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে নিয়ে আসেন। বিপুল চন্দ্র কমিটির সভাপতি হওয়ার পর সভাপতি ও প্রধানশিক্ষক দুজনে মিলে দুই পরিবারের লোকজনদের নিয়োগ দেন।

অভিযোগ অনুসারে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নেপোটিজম এবং দুর্নীতির মাধ্যমে পরিবারের সদস্যদের নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর ফলে, বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে মাত্র একজন মুসলিম এবং বাকি সবাই সনাতন ধর্মের অনুসারী, যা প্রাপ্য মুসলিম প্রার্থীসহ অন্যান্য যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করেছে।

গত ৪ সেপ্টেম্বর ‘এক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষক থেকে আয়া সবাই একই পরিবারের’ এবং ‘এক বিদ্যালয়ে প্রধানশিক্ষকসহ একই পরিবারের ১৭ জনের চাকরি’ শিরোনামে এ বিষয়ে চ্যানেল 24 সহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় গুরুতর অনিয়মের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এত বড় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও এখনো কোনো তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়নি বা কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত ৫ সেপ্টেম্বর সংশ্লিষ্ট দপ্তর গুলোতে বেশ কয়েকটি আবেদন জমা দেয়া হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

আইনজীবী মো. মনিরুল ইসলাম মিয়া জানিয়েছেন, যদি দ্রুত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করা হবে এবং এর জন্য দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আইনি প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print