সুনামগঞ্জের ছাতকে নিখোঁজের দুই দিন পর আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউর রহমানের (৫৫) বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ছাতক উপজেলার সিংচাপইর ইউনিয়নের মহদী গ্ৰামে ওই ঘটনা ঘটে।
জিয়াউর রহমান ওই গ্রামের মৃত আলমাস আলী ময়নার ছেলে। তিনি পেশায় একজন মুদি দোকানদার এবং সিংচাপইর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, মহদী গ্ৰামের ছোট খালে সাদা বস্তার মধ্যে মরদেহ সন্দেহে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে খাল থেকে বস্তাটি খুলে ভিতরে হাত বাধা অবস্থায় ওই আওয়ামী লীগ নেতার গলিত লাশটি উদ্ধার করে।
জিয়াউর রহমানের ভাতিজা সিংচাপইর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন মোহাম্মদ সাহেল বলেন, গত রোববার রাতে আমার চাচা নিখোঁজ হন। আমাদের পরিবার আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার চাচার সঙ্গে স্থানীয় কিছু লোকের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। তারাই চাচাকে হত্যা করেছে। আমরা মামলা করব।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন্দ্র পাল রাখাল মোবাইল ফোনে বলেন, ‘জিয়াউর আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তার বড় ভাই মৃত আজিজুর রহমান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
জাউয়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (ইনচার্জ) আকরাম হোসেন বলেন, বস্তাবন্দি লাশের হাত বাধা ছিল। মুখমণ্ডলও পচে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা পর বস্তার ভিতর ঢুকিয়ে ঘটনাস্থলে এনে ফেলে গেছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে লাশটি ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলমান।