চট্টগ্রামে পৃথক ৩টি অগ্নি দুর্ঘটনায় বেশ কিছু বাড়িঘর ও দোকান পুড়ে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জেলার বাশঁখালি, পটিয়া এবং নগরীর খুলশী এলাকায় এসব অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পটিয়ার অগ্নিকাণ্ডকে নাশকতামূলক দাবী করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।
রবিবার রাত থেকে আজ সোমবার সকালের মধ্যে এসব অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ফায়ার সার্ভিস সুত্রে জানা গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগের উপসহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন এসব অগ্নিদুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাঁশখালী উপজেলার শেখের খীল এলাকায় রাত পৌনে ৩টার দিকে অগ্নিকা-ে বিভিন্ন মালিকের ১০টি বসতঘর পুড়ে গেছে।
অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে সাতকানিয়া কক্সবাজারে পেকুয়া ও চট্টগ্রাম মহানগরীর লামা বাজার ষ্টেশন থেকে ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিটের ৩টি গাড়ি গিয়ে সাড়ে ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে ভোর ৬টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট সৃষ্ট এ আগুনে অন্তত ১২লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি এবং ২০ লাখ টাকার সম্পদ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলে জানান ফায়ার কর্মকর্তা জসিম। তবে স্থানীয় ক্ষতিগ্রস্থ্যরা দাবী করেছেন আগুনে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকার সম্পদ পুড়ে গেছে।
এদিকে পটিয়া থেকে সংবাদদাতা জানান, পটিয়া পৌরসভা সদরের এক নম্বর ওয়ার্ডে কাগুজীপাড়া এলাকায় রাত ৩টা ১০ মিনিটে লাগা আগুনে ৬ জন মালিকের ৬টি কাঁচা বসতঘর পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিস অগ্নিকাণ্ডে সুত্রপাত জানতে না পারলেও ক্ষতিগ্রস্থরা দাবী করেছে পূর্ব শক্রতার জেরে নাশকতামূলকভাবে এ আগুন লাগানো হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে পটিয়া ষ্টেশন থেকে ২টি গাড়ি গিয়ে ২ ঘন্টার বেশি সময় চেষ্টার পর ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আগুনে মো. সোহেল, আব্দুল কাদের, ফজল কাদের হোসনে আরা বেগম, মাহবুব ও দুলালের বাসতঘর পুড়ে নগদ ৪০ হাজার টাকাসহ ৩ লাখ টাকার মত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্থ্য দুলাল জানান, প্রতিবেশী আর্মি সেলিমের সাথে তাদের পারিবারিক বিরোধের কারণে তার লোকজন এ আগুন দিয়েছে।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস কন্ট্রোল রুম কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, আজ সোমবার ভোর ৫টার দিকে নগরীর খুলশী থানার মসজিদ গলিতে রান্নার চুলার আগুনে একটি চা দোকান পুড়ে ২৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
