চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক প্যানেল মেয়র, আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী ও ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবদুস সবুর লিটনের ভাড়া নেওয়া একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ ব্যান্ডরোল উদ্ধার করেছে কাস্টমস ভ্যাট কমিশনের একটি টিম।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বিকেল রাত ৮টা পর্যন্ত হালিশহর থানার রামপুর রমনা আবাসিকের মসজিদ গলির জনৈক ফরিদের মালিকানাধীন ফরিদ ম্যানসনের নিচ তলার দুটি ঘর তল্লাশি চালিয়ে অবৈধভাবে গোডাউন বানিয়ে সেখানে রাখা বিপুল পরিমাণ সিগারেটের ব্যান্ড রোলগুলো জব্দ করে।
অভিযানের বিষয়ে কাস্টমসের ভ্যাট কমিশন টিম। কাস্টস ভ্যাট কমিশনের অতিরিক্ত কমিশনার তাফসির উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, জব্দকৃত মালামাল ল্যাব টেস্টে পাঠানোর পর জানা যাবে এসব সিগারেটের ব্যান্ড রোলগুলো আসল কি নকল। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে যেহেতু অবৈধ গোডাউনে রাখা হয়েছে, সেহেতু এগুলো নকল। যাচাই-বাছাই শেষে মামলা করা হবে এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে।
এর মালিকানা বিষয়ে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুস সবুর লিটন ও তার ছোট খোকন গোডাউন ভাড়া করে এগুলো এখানে রেখেছেন বলে বাড়ির মালিকের কাছ থেকে জানা গেছে। এ সময় এ টিমকে সহযোগিতা করেন হালিশহর থানা পুলিশ
হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানও অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে অভিযান চলমান থাকায় তিনিও বিস্তারিত তথ্য জানাতে পারেননি।
ঘটনাস্থলে থাকা হালিশহর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কাষ্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট কর্তৃপক্ষ অভিযানটি চালাচ্ছে। আমরা শুধু তাদেরকে সহযোগিতা করতে এসেছি। বাসাটি সাবেক কাউন্সিলর কিভাবে ভাড়া নিয়েছেন বা কি—তা বলছে পারছি না। তবে এটি গোডাউন নয়, বরং ভাড়া বাসার মতোই।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযানে ভবনের নিচ তলায় একটি গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সিগারেট স্ট্যাম্প ও বিদেশি সিগারেট পেপার পাওয়া গেছে। এখনও গণনার কাজ চলমান রয়েছে। এ কোম্পানি ওরিস ও ইজি লাইটসের মতো বিদেশি ব্র্যান্ডের সিগারেটের নকলসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরি করছে, যা ঢাকা ও চট্টগ্রামের মতো বড় শহরগুলোতে বিক্রি করা হয়।’
উল্লেখ্য, নিষিদ্ধ ব্যান্ড রোল আমদানি, নকল সিগারেট বাজারজাত করা, প্যানেল মেয়র হওয়ার জন্য চসিকের অধিকাংশ কাউন্সিলরকে লাখ টাকা দামের আইফোন উপহার দেওয়াসহ নানা অভিযোগ ও বিতর্ক রয়েছে আবদুস সবুর লিটনের বিরুদ্ধে।