ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

স্বামীকে খুন করে ৮০০ কিমি দূরে লাশ ফেলে আসেন স্ত্রী, অভিযোগ করেন নিখোঁজের

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

গত তিন সপ্তাহ আগে ভারতের কর্ণাটকের কোদাগু জেলার একটি কফি বাগান থেকে আগুনে পোড়া একটি অজ্ঞাতানাম মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে জানা যায়, লাশটি হলো ৫৪ বছর বয়সী ব্যবসায়ী রমেশের। গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। খবর এনডিটিভি

এ ঘটনার সূত্র ধরে পুলিশ রমেশের স্ত্রী নেহারিকা এবং তার প্রেমিক নিখিল ও আরও একজনকে চিহ্নিত করেছে। পরে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৮ অক্টোবর পুলিশ কোদাগুর সানতিকোপ্পার কাছে একটি কফি বাগানে অজ্ঞাতনামা একটি পোড়া মরদেহ খুঁজে পায়। যথন তার দেহটির পরিচয় সনাক্ত করে ব্যর্থ হয়, তখন পুলিশ ওই এলাকায় রাস্তার পাশের সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে। যেখানে লাল রংয়ের একটি মার্সিডিস গাড়ি পুলিশের মনোযোগ আকর্ষণ করে। গাড়িটি রমেশের নামে রেজিস্টার করা ছিল। রমেশের স্ত্রীও তার নামে নিখোঁজের অভিযোগ করেছিলেন। পরবর্তীতে পুলিশ তেলেঙ্গানাতে গাড়িটি রেজিস্টার করা ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে।

পুলিশ তার চেষ্টায় সফল হয়। গাড়ির মালিক রমেশের স্ত্রী নিহারিকাকে (২৯) পুলিশ সন্দেহ করে। তাকে যখন আদালতে নেয়া হয় তখন সে রমেশকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার দুই সহযোগী নিখিল এবং অঙ্কুরের কথাও জানায়। নিখিল পেশায় একজন পশু চিকিৎসক। নিহারিকা অনেক আগে থেকেই অর্থ প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিল। এ কারণে তার জেলও হয়। পরে জেলে অঙ্কুরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর নিহারিকা রমেশকে খুন করেন। রমেশের সঙ্গে এটা ছিল তার দ্বিতীয় বিয়ে। ব্যবসায়ী রমেশ তার স্ত্রী নিহারিকাকে একটি উচ্চবিলাসী জীবনযাপন উপহার দেয়। যেটিকে এই নারী সুযোগ হিসেবে কাজে লাগান। এক পর্যায়ে সে রমেশের কাছে ৮ কোটি রুপি দাবি করে। কিন্তু রমেশ এটি দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এতে নিহারিকা ক্ষিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে নিখিলে সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অঙ্গুরের সহযোগিতার স্বামী রমেশকে হত্যা করে। গত ১ অক্টোবর হায়দ্রাবাদের উপলে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে তার টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে ৮০০ কিলোমিটার দূরে গিয়ে রমেশের মরদেহ কফি বাগানে বক্সে রেখে আগুনে জালিয়ে দেয়া হয়। এরপর তারা সবাই হায়দ্রাবাদে ফিরে আসে। পরবর্তীতে নেহারিকা রমেশ নিখোঁজ হয়েছে বলে পুলিশে কাছে অভিযোগ করেন।

কোদাগু পুলিশ প্রধান রামারাজান বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য খুঁজে বের করা আমাদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। কারণ সব ধরনের আলামত প্রায় ধ্বংস করা হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, মামলা করার ৩ থেকে ৪ দিন আগে রমেশের দেহটি পুলিয়ে ফেলা হয়।

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print