বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল নোমান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিবাদের অবসান ঘটেছে কিন্তু বিভিন্ন সাংবিধানিক ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসরেরা বহাল তবিয়তে রয়ে গেছে। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রতিষ্ঠান থেকে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে পারলে চলমান অস্থিরতা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে।
আজ রবিবার নগরীর নাসিমনভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে চট্টগ্রাম—১০ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অংগ সংগঠন সমূহের উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সমাবেশে আবদুল্লাহ আল নোমান প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
নোমান বলেন, অবিলম্বে দূনীর্তি দমন কমিশন পূর্নগঠন করে দূনীর্তি ও লুটপাঠের সাথে জড়িত পতিত স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও নেতাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। দেশ থেকে পাঁচার হওয়া লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। আওয়ামীলীগ ১৭ বছরের শাসনামলে দেশকে অর্থনৈতিকভাবে তলাবিহীন ঝুঁড়িতে পরিণত করেছে।
নোমান বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে বিএনপির মত এত দীর্ঘ সংগ্রাম কোন সময়ে কেউ করেনি। দীর্ঘ ১৭ বছরের আন্দোলনে বিএনপির লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী জেল, জুলুম ও নির্যাতনের স্বীকার হয়েছে কিন্তু কেউ আদর্শচ্যুত হয়নি। বিএনপি এখন বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং অপ্রতিদ্বন্দী রাজনৈতিক দল। তারেক রহমান কতৃর্ক জাতির সামনে উপস্থাপিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা বৈষম্যহীন একটি সুখী ও সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ বিনির্মানের মূল মন্ত্র হিসেবে কাজ করবে।
সাবেক কাউন্সিলর শামসুল আলমের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, অন্তবর্তী সরকারকে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা হলে চলমান অস্থিরতার অবসান হবে। তিনি বলেন, আমি মেয়র হিসেবে নয়, জনগণের সেবক হিসেবে কাজ করতে এসেছি। চট্টগ্রাম মহানগরীকে ক্লিন সিটি ও গ্রীন সিটিতে পরিণত করার কাজে বিএনপি নেতাকমীর্দের সম্পৃক্ত করা হবে। মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীতে জলাবদ্ধতা নিরসনের লক্ষে শিগগির খাল কাটা কর্মসূচী চালু করা হবে।
কর্মী সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এডভোকেট আবদুস সাত্তার, চবি শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. সিদ্দিক আহমেদ চৌধুরী, নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদুল আলম রাসেল, বিএনপির নেতা এস.এম আবুল ফয়েজ, তরুণ রাজনীতিক সাঈদ আল নোমান তূর্ষ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহার।