ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নির্বাচন বিলিম্বত হলে জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে: মির্জা ফখরুল

.

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ইদানিং বিভিন্ন কথা উঠছে বিভিন্নভাবে, কথাগুলো এমনভাবে তোলা হচ্ছে, যা থেকে নতুন নতুন তর্কের সৃষ্টি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা সোজা কথা বলতে যেটা বুঝি, তা হলো সাধারণ মানুষ পরিবর্তনের পরে একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র চায়। সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে তারা তাদের অধিকার ফিরে চান। তারা কথা বলা, ভোটের অধিকার পান, সুশৃংখলভাবে বেঁচে থাকার অধিকার তারা চান।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের অডিটোরিয়ামে শহীদ আসাদ পরিষদ কর্তৃক ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক স্বাধীনতার প্রতিক শহীদ আসদের ৫৬তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা রাজনীতিবিদরা বদলানোর চেষ্টা করি, সব সময় আমরা পেরে উঠি না। কারণ জিঘাংসালিপ্সু চক্র আছে, সেই চক্রটি এতো বেশি সক্রিয় হয়ে বিপ্লবের ধারাটিকে বদলে নিয়ে যান।

১৭ বছর ধরে যে বিষয়গুলো নিয়ে লড়াই সংগ্রাম করেছি, যারা লড়াই সংগ্রামে প্রাণ দিয়েছে তাদের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করতে পারি এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন মির্জা ফখরুল।

আমি কিছু কথা বললে সমালোচনা তৈরি হয়- এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমি বলি, নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। কেন বলি? সেটা বলার চেষ্টা করেছি, কারণ আমরা ১৫ বছর ধরে ভোট দেয়া থেকে বঞ্চিত। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তাদের প্রতিনিধিকে নির্বাচিত করার সুযোগ পাবে। নির্বাচন বিষয়টাকে যদি আবার বিতর্কিত করে তোলা হয়, তাহলে জনগণ আবার তাদের সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। এমন প্রেক্ষাপটে যদি দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত না করা হয় সময় ক্ষেপণ করা হয়, তবে অন্য অন্য শক্তিগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে চায়। জনগণ তার চাহিদা থেকে বঞ্চিত হন।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর মানুষের প্রত্যাশা অন্তর্বতী সরকার তাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, কিন্তু আমরা এমন কিছু দেখছি না, নিশ্চিত করতে পাচ্ছি না। তাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, নির্বাচন শুধু একটা দলকে ক্ষমতায় বসানো নয়। নির্বাচন হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপূর্ণ একটা পথ তৈরি করা।

সবগুলো সংস্কার করে নির্বাচনে যেতে চায় সরকার, তাহলে আমরা কী আরো ৪-৫ বছর অপেক্ষা করব- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘এতে জনগণ তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে।’

তিনি আরো বলেন, আমরা শহীদ আসাদের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না, শহীদ আবু সাঈদের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। সব মিলিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন আমাদের ভবিষ্যতের জন্য, স্বপ্নের জন্য। সেই স্বপ্নগুলো যেন একটা ঐক্য গড়ে তুলে পূরণ করতে পারি। সেই চেষ্টাই আমাদের করতে হবে।

শহীদ আসাদ পরিষদের সভাপতি ড. মাহবুব উল্লাহর সভাপতিত্বে এসময় আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি প্রমুখ।

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print