ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে এ টি এম আজহারকে আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতার এ টি এম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।

রোববার ( ১৬ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াত আমির এ টি এম আজহারুল ইসলামের দ্রুত মুক্তি চেয়ে এসব কথা বলেন।

জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রমগুলো সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায়। এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার লক্ষ্যে জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিথ্যা, সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে ফাঁসির দণ্ড হাসিলের মাধ্যমে তৎকালীন আমিরে জামায়াত ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ পাঁচজন শীর্ষনেতাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে।

সাবেক আমিরে জামায়াত ও নায়েবে আমিরসহ ছয়জন শীর্ষনেতাকে বিচারের নামে প্রহসন করে কারাগারে আটক রাখে। আটক থাকাবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন। আওয়ামী সরকারের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের নির্মম শিকার হন তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম এ টি এম আজহারুল ইসলাম।

বিবৃতিতে তিনি জামায়াত আমির আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে সংগঠনের তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। রিমান্ডে নিয়ে তার ওপর চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেয়া হয়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করার পর নিজ বাসায় অবস্থানকালে পুলিশ তার বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। তার বাড়ির চতুর্দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় সহকর্মীদেরকে তার সাথে সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি। আওয়ামী সরকার এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আবারো তাকে বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।

জামায়াত আমির বলেন, আওয়ামী সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য প্রদান করে। একজন সাক্ষী আদালতে বলেছেন, তিনি সাত কিলোমিটার দূর থেকে এবং অপর আরেক সাক্ষী বলেছেন, তিনি তিন কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। সাক্ষীদের এই বক্তব্য অবাস্তব ও হাস্যকর। আরেকজন সাক্ষী নিজেকে আজহার সাহেবের ক্লাসমেট দাবি করে আদালতে আজহার সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। আদালতে উপস্থাপিত ডকুমেন্ট অনুযায়ী আজহারুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে কারমাইকেল কলেজ ত্যাগ করেন। আর কথিত সাক্ষী ১৯৭০ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। অতএব, আজহারুল ইসলামকে ওই সাক্ষী তার ক্লাসমেট হওয়ার যে দাবি করেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা। এ ধরনের মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

তিনি বলেন, এ টি এম আজহারুল ইসলাম ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগের চারজন বিচারপতির মধ্যে তিনজন বিচারপতি ট্রাইবুনালের রায় বহাল রাখলেও একজন বিচারপতি এ রায়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। এ টি এম আজহারুল ইসলাম সেখানেও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী অবগত আছেন, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আদালতের মাধ্যমে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করাই ছিল আওয়ামী সরকারের মূল উদ্দেশ্য। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ, গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতারকৃত অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এ টি এম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ছয় মাস আট দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এ টি এম আজহারুল ইসলাম মুক্তিলাভ করেননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print