ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পবিত্র রমজান

জমজমাট চকের ইফতারির বাজার

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

চর্ব্যচোষ্য-লেহ্যপেয়—কী নেই এই বাজারে! চারপাশ উপাদেয় খাবারের ঘ্রাণে ম ম করছে।

গা-ঘেঁষা ভিড়ে তুমুল হাঁকডাক ছেড়ে চলছে কেনাকাটা। চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম তুলে ঠোঙায় পুরে দেওয়া হচ্ছে ক্রেতার হাতে। সারা দিন সিয়াম সাধনার পর ইফতারের জন্য ক্রেতারা লুফে নিচ্ছে এসব খাবার। লালবাগ থেকে আসা মধ্যবয়সী এক ক্রেতা বললেন, রোজা রাখবেন আর চকের ইফতার খাবেন না, তা কল্পনাতীত!
ঢাকার ইতিহাসবিদরা লিখেছেন, সুবেদার ইসলাম খাঁ ঢাকায় কামান দাগিয়ে, তোপধ্বনির মাধ্যমে রোজাকে স্বাগত জানানোর রেওয়াজ চালু করেছিলেন।

পরবর্তীকালে ঢাকার নবাবরাও রোজার আগমনকে তোপধ্বনির মাধ্যমে স্মরণীয় করে রেখেছেন। প্রযুক্তির কল্যাণে রোজার আগমন জানান দিতে এখন আর কামান দাগানোর প্রয়োজন পড়ে না। এর পরও রোজা এলে নগরবাসীর জীবনধারায় বড়সড় পরিবর্তন আসে। খাদ্যতালিকায়ও যুক্ত হয় বাহারি পদ।এসব পদের প্রধান উৎস পুরান ঢাকার এই চকবাজার।

হেকিম হাবীবুর রহমান তাঁর ‘ঢাকা পাচাস বারাস পেহলে’ গ্রন্থে উনিশ শতকের গোড়ার দিকের ঢাকার স্মৃতিকথা লিখেছেন। ছেলেবেলায় আজকের চকবাজারের শাহি মসজিদের আঙিনায় তখনো যে ইফতারি সাজিয়ে বসতেন দোকানিরা, সে কথা সবিস্তারে বয়ান করেছেন এই পণ্ডিত। নান, কাবাব, বিরিয়ানি, হালিম, জিলাপি, নিমকপারা, সমুচা, ফালুদা, লাচ্ছি আর হরেক রকম রুটির কথা জানা যায় তাঁর লেখা থেকে। গত শতকের পুরান ঢাকার ইফতারির তালিকায় সুতি কাবাব, শামি কাবাব, নার্গিস কাবাব, ক্ষীরি কাবাবসহ বহু রকমের কাবাবের কথা লিখেছেন মীজানুর রহমান তাঁর ‘ঢাকা পুরাণ’ বইয়ে।

গতকাল সোমবার পবিত্র রমজান মাসের দ্বিতীয় দিন চকের ইফতারির বাজার ঘুরে দেখা গেল প্রাণবন্ত দৃশ্য। মনে হলো, চকের ইফতারি এখনো শতবর্ষের সেই ঐতিহ্যের ধারা ধরে রেখেছে।

গরু-খাসির সুতি কাবাব নিয়ে বসা হাজি মাহবুব নামের একজন বিক্রেতা জানান, তাঁর পরিবার দেড় শ বছর ধরে শাহি মসজিদের সামনে সুতি কাবাব বিক্রি করছে। হাজি রুস্তমের সুতি কাবাব নামে সবাই তাদের চেনে। পিতা রুস্তমের পর তিনি এই ব্যবসা ধরে রেখেছেন। তাঁর দাদা, পরদাদারাও এই সুতি কাবাব বিক্রি করতেন। জানালেন, প্রতিদিন জোহরের নামাজের পরপরই কেনাকাটা শুরু হয়ে যায়। দূরের ক্রেতারা আগে আগে কেনাকাটা করতে আসে। তবে মাগরিবের আজানের আগ পর্যন্ত তাঁদের ব্যস্ততা থাকে। এই বিক্রেতা জানান, এবার এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ৮০০ টাকা দরে সুতি কাবাব বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেল, এবার টেংরি কাবাব ১০০ টাকা, শিককাবাব ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, কাঠিকাবাব ৮০ থেকে ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শাহি জিলাপি ৩৫০ টাকা কেজি, রসমালাই ও দই প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, দুধসর ও পানতুয়া যথাক্রমে ৪৫০ ও ৫৫০ টাকা, ঘিয়ে ভাজা জিলাপি ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। ভ্রাম্যমাণ ও মৌসুমি ইফতারি বিক্রেতাদের মধ্যে পুরান ঢাকার বংশালের আল রাজ্জাক রেস্টুরেন্ট, আল-নাসের, রায়সাহেব বাজারের ক্যাফে ইউসুফ প্রভৃতি রেস্টুরেন্টও তাদের ইফতারির পসরা সাজিয়ে বসেছে। এসব দোকানেও রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। তবে প্রায় সব দোকানই খোলা। খাবার ঢেকে রাখার কোনো চেষ্টা কারো নেই। কয়েকজন ক্রেতা গতবারের তুলনায় এবার খাবারের দাম কিছুটা বেশি বললেও বিক্রেতারা বলছেন, দাম তেমন বাড়েনি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print