
চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে যুবলীগ ছাত্রলীগের কর্মীরা।
বুধবার সন্ধ্যার আগে কথিত ভুঁইফোড় সংগঠন চেতনা-৭১ এর ব্যানারে ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীরা বিনা উস্কানীতে এ হামলা ও লুটপাট করেছে বলে অভিযোগ করেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।
এ ঘটনার পর বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।
সূত্র জানাগেছে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী সম্পর্কে উত্তর জেলা বিএনপি’র কটূক্তির প্রতিবাদে বুধবার বিকালে হাটহাজারী বাসস্টেশনে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে সম্প্রতি আত্মপ্রকাশ করা সংগঠন চেতনা ৭১ নামে সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এর আগে বিকাল ৫ টার দিকে একটি মিছিল বের করে তারা। পরে সমাবেশে মিলিত হয় শতাধিক যুবলীগ ছাত্রলীগ কর্মী।

সমাবেশ চলাবস্থায় ৩০/৩৫ জনের বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের একটি দল লাঠিসোটা নিয়ে আধুনিক হাসপাতালের নিচে অবস্থিত উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও তান্ডব চালায়। তারা বন্ধ থাকা কার্যালয়ের তালা ভেঙ্গে সেখানে থাকা ফার্নিচার, চেয়ার, টেবিল, সাইনবোর্ড ও মহাসড়কের পাশে থাকা বিলবোর্ডে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এবং অফিসে থাকা মালামাল এবং অালমিরা ভেঙ্গে নগদ টাকা লুটপাট করে বলে বিএনপি অভিযোগ করেন।
হামলা চলাকালে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে লোকজন প্রাণ ভয়ে নিরাপদে পালাতে থাকে। খবর পেয়ে হাটহাজারী থানার এসআই আনোয়ারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

কোন কারণ ছাড়াই হাটহাজারী বিএনপি কার্যালয়ে যুবলীগ ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের হামলা ভাঙচুরের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন কেন্দ্রিয় বিএনপির নির্বাহী কমিটি সদস্য ও হাটহাজারীর কৃতি সন্তান ব্যারিষ্টার মীর মো. হেলাল উদ্দিন।
হামলার বিষয়ে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম-আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মাহাবুবুল আলম চৌধুরী জানান, উপজেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে অর্তকিত, ন্যাক্কারজনক হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আমরা হতবাক হয়েছি। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ বিষয়ে দলের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত দেবে সে অনুযায়ী আমরা কর্মসূচী গ্রহণ করবো।

এদিকে কথিত সংগঠন চেতনা ৭১ এর উপদেষ্টা ও জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম চৌধুরী ঘটনাটিকে অনাকাঙ্খিত উল্লেখ করে সাংবাদিকদের বলেন, “কেন্দ্রীয় যুবলীগ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিএনপি’র কটুক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে কিছু বিক্ষুব্ধ কর্মী হয়তো ক্ষোভে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিষয়টি দুঃখজনক ও অনাকাঙ্খিত। আমি হাটহাজারীতে রাজনৈতিক সহবস্থানে বিশ্বাসী। সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রয়োজনে ক্ষতিপূরণ দিয়ে আমাদের কর্মীরা তাদের কার্যালয় ঠিক করে দিবে।”