ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

বোমা হামলায় আহত র‌্যাব গোয়েন্দা পরিচালক মারা গেলেন

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

অবশেষে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ। আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে তিনি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহে…রাজেউন)।

গত  শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় সিলেটে শিববাড়ির পাঠানপাড়ায় বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হয়েছিলেন র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ।

র‍্যাবের মিডিয়া উইং প্রধান মুফতি মাহমুদ মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আবুল কালাম আজাদকে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত ১২.০৫ মিনিটে লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজাদের মৃতদেহ সিএমএইচের হিমঘরে রাখা হয়েছে। শুক্রবার তার জানাজা ও দাফনের বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে। মৃত্যুর সময় আজাদের পাশে ছিলেন ব্যাবের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, পরিবারের সদস্য, কোর্সমেট ও বন্ধুবান্ধবরা।

র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আজাদের মৃত্যুতে র‌্যাবের অপূরণীয় ক্ষতি হল। তিনি জাতির সূর্যসন্তান ছিলেন। র‌্যাব তথা দেশের মানুষ তাকে আজীবন স্মরণ করবে। আবুল কালাম আজাদ মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দেশে শান্তি-স্থিতিশিলতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করে গেছেন। জঙ্গিসংক্রান্ত অপরাধ দমনে তার উল্লে­খযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। দেশ মাতৃকার এ অকুতোভয় সৈনিক দেশের কল্যাণে তার নিজের জীবন উৎসর্গ করলেন। একজন গর্বিত সেনা কর্মকর্তা হিসেবে এটি তার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

এর আগে বুধবার রাতে লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়।

বুধবার র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার মুফতি মাহমুদ খান জানান, সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন, তাদের পরামর্শ অনুযায়ী দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তাকে ঢাকার সিএমএইচে ভর্তি করা হয়েছে।

রবিবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে র‌্যাবের এ পরিচালককে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয় সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। এর আগে তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। এদিন ৭টা ৫০ মিনিটে তাকে সিএমএইচ থেকে বিমানবন্দরের নিয়ে যাওয়া হয়।

কর্নেল আজাদ তার স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক কন্যাসন্তানকে রেখে গেছেন। ব্যক্তিজীবনে অত্যন্ত সদালাপী ও সরল জীবনযাপনে অভ্যস্ত কর্নেল আজাদ বন্ধু সহকর্মী ছাড়াও গণমাধ্যমকর্মী, বিশেষ করে অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদকদের অত্যন্ত আপনজন ছিলেন। যে কোনো অপরাধবিষয়ক প্রতিবেদনের ক্ষেত্রে সহায়তা চাইলে তিনি হাস্যোজ্জ্বল মুখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেন। এ কারণে গণমাধ্যমকর্মীরা তার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করে আসছিলেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জের মনকষা গ্রামে লে. কর্নেল আবুল কালাম আজাদের বাড়ি।

শনিবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যায় শিববাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে মারাত্মকভাবে আহত হন আবুল কালাম আজাদ। আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নেয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। বিস্ফোরণের পরপরই তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিলো।

বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়াও বোমার স্প্লিন্টারের আঘাতে আরও ৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। তাদের ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

*আহত র‌্যাব পরিচালককে সিঙ্গাপুর নেয়া হলো

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print