
চট্টগ্রামে আজ রবিবার অর্ধদিবস হরতাল আহবান করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরু হত্যার প্রতিবাদে এ হরতাল ডাকা হয়। ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগরী, চট্টগ্র্রাম উত্তর, দক্ষিণ জেলা, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও পার্বত্য জেলা বান্দবানেও এ হরতাল পালিত হবে বলে জানান ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।
এদিকে আজকের হরতাল সফল করতে গতকাল শনিবার হরতালের সমর্থনে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের অনুষ্ঠিত মিছিলে লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। এসময় ছাত্রদলের আট নেতা কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানান ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ’র নেতৃত্বে নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে মিছিল বের করে নগর ছাত্রদল।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নূরুল আলম নূরু (৪৫) হত্যার প্রতিবাদে রবিবার বৃহত্তর চট্টগ্রামে অর্ধদিবস হরতালে সমর্থনে লালখান বাজার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে বের হওয়া নগর ছাত্রদলের একটি মিছিল চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে পুলিশ বাঁধা দেয়।

এসময় ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা পুলিশের বাঁধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের দিকে যাওয়ার সময় পুলিশ বেধড়ক লাঠিচার্জ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মীকে মারধোরও করেছেন পুলিশ।
জানতে চাইলে কোতোয়ালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম ক্লাবের সামনে দাড়িয়ে থাকা পুলিশের দেখে মিছিল থেকে বিভিন্ন ধরনের উসকানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে ছাত্রদলের নেতা কর্মীরা। পুলিশ তাদের উসকানিমূলক শ্লোগান না দেয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করেন। কিন্তু তারা কথা না শুনে উদ্ধত আচরণ শুরু করে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।
এদিকে নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ মিছিলে বিনা কারণে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছেন। এতে ছাত্রদলের আট নেতা কর্মী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন হলেন- কেন্দ্রীয় সংসদের চট্রগ্রাম বিভাগীয় সহ-সভাপতি সরোয়ার উদ্দীন সেলিম, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ, সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, সিনিঃ যুগ্ন সম্পাদক মোশারফ হোসেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি কে.আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদুল আফছার জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি।
উল্লেখ্যঃ গত ২৯ মার্চ (বুধবার) রাতে নগরীর চকবাজার এলাকার নিজ বাসা থেকে পুলিশ পরিচয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নুরুকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন (বৃহস্পতিবার) বিকেলে রাউজান উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের কোয়েপাড়া গ্রামের খেলাঘাট এলাকায় কর্ণফুলী নদীর তীর থেকে হাত-পা ও চোখ বাঁধা অবস্থায় নুরুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।