
চট্টগ্রাম মহানগরীতে দিনভর থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে মঙ্গলবার। তবে কয়েক ঘন্টার প্রবল বৃষ্টিতেই নগরীর নিমাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পড়েছে। এতে করে দুর্ভোগে পড়ে হাজার হাজার নগরবাসী।
দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে নগরীর চকবাজার বাদুর তলা, বহদ্দারহাট, হালিশহর, আগ্রাবাদ, মুরাদপুর, পশ্চিম মাদারবাড়ি, মনসুরাবাদ, পাহাড়তলী বাকলিয়াসহ নগরীর নির্মাঞ্চল সমূহ হাটু পানিতে ডুবে যায়।

পতেঙ্গাস্থ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে। আগামীকালও মাঝারী থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভবনা রয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা।
বাকলিয়া রাহাত্তারপুর এলাকার ব্যবসায়ি হাজী সোবাহান বলেন, মেয়র যায় মেয়র আসে। কেউ চট্টগ্রামের জলবদ্ধতা দুর করতে পারেনা। হাজার হাজার কোটি টাকা নাকি সরকার দেয় তারপরও সামান্য বৃষ্টি চট্টগ্রাম শহর ডুবে যায়। এর কারণ কেউ বলতে পারেনা। এতো টাকা কোথাই যায় ?

এদিকে বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নগরীর জলবদ্ধতা নিয়ে ছবি এবং ব্যক্তিগত মতামতের ঝড় তুলেছেন নগরবাসী।
নগরীর বহদ্দার এলাকার হাটুজলের কয়েকটি ছবি পোষ্ট করে সাংবাদিক কাজী হুমায়ুন কবীর লিখেছেন-“মাঝে মাঝে এমন পরিস্থিতির স্বীকার হতে হয়।তুমুল ঝড়ে চট্টগ্রাম শহরের ২নং গেইট থেকে জিইসির মোড়, প্রবর্তক মোড় এবং বহদ্দারহাট সড়কে হঠাৎ জেগে উঠা নৌকাহীন অফুরন্ত পানির নদী দেখে দুরদুরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা কিংকর্তব্যবিমুঢ”

মহানগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজীম রনি নগরীর বিভিন্ন এলাকার কোমর সমান পানির ৮টি ছবি দিয়ে স্ট্যাটার্স লিখেছেন-
“ব্যর্থ প্রমান/প্রচার করে উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ করতে আল্লাহ প্রদত্ত অল্প-বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা” আমার ঘর কিন্তু মুরাদপুর।জিলাপি পাহাড়ে থাকলে বলতাম না