
অসৎ ইচ্ছা ও নগরবাসীর বিরুদ্ধে চক্রান্ত বন্ধ করার জন্য নিজ দলের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ.জ.ম নাছিরের প্রতি আহবান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
আজ সোমবার বিকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর লালদীঘি মাঠে সোনালী যান্ত্রিক মৎস শিল্প সমবায় সমিতি আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনকে তিনি (নাছির) পাগলের আড্ডাখানা বানিয়ে ফেলেছেন।
তিনি মেয়র নাছিরকে উদ্দেশ্য করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম এসে আপনাকে সাবধান করার পরেও কোন পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়নি। নাগরিক সেবার মান না বাড়িয়ে নগরবাসির উপর ট্যাক্স বাড়ানোর প্রতিবাদ করেন তিনি।
এসময় সমিতির সভাপতি সামশুল হক, ১৪ দলীয় নেতা জসিম উদ্দিন বাবুল, মহিলা লীগ নেত্রী হাসিনা মমতাজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, নগরবাসির সমস্যার শেষ নেই। পরিকল্পিতভাবে এসব সমস্যা সমাধানে কেউ এগিয়ে আসছেনা। তিনি চট্টগ্রাম আউটার স্টেডিয়ামে সুইমিংপুল নির্মানেরও প্রতিবাদ জানান।
এর আগে এ সমাবেশে গরম কথা বলে হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতা। সেই কথার রেশ ধরে এদিন সমাবেশে বলেন, ‘অনেকে বলেছেন কড়া কথা বলবো। কেউ অন্যায় করলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।’
শুধু মেয়র নাছির নন, চট্টগ্রামের তিনজন সংসদ সদস্যও বন্দর চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে থাকনে বলে অভিযোগ তুলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন,‘নাছির সাহেব সিটি করপোরেশনের দরজায় তালা মেরে সার্বক্ষণিক বন্দরের চেয়ারম্যানের কক্ষে বসে থাকেন। চারটি স্টিভিডোরশিফ নিয়েছেন। একটা লোক একটা স্টিভিডোরশিফ নেবেন। কিন্তু কি কারণে, বাহুবলে চারটি নিয়েছেন। সেটা তো তার দায়িত্ব নয়। তবুও তিনি সেসব কাজগুলো করছেন।’
সমাবেশে সাবেক এ নগর পিতা আরও বলেন, ‘সিটি করপোরেশনকে পাগলের আড্ডাখানা বানিয়ে ফেলেছেন। উনি (নাছির) থাকেন না, তালাভরে রাখেন। তার কিছু তল্পিবাহক, যারা তার নামে শ্লোগান দেন তাদের সেখানে চাকরি দিয়েছেন।’
তিনি নাম উচ্চারণ করে বলেন, বিচ্ছু, (সামশুল হক) আমাদের লতিফ, মনজুর ভাতিজা সংসদে কথা বলে না, বলে বন্দরের চেয়ারম্যানের অফিসে। লজ্জা লাগে না। আপনি সংসদ সদস্য বসে রইলেন বন্দরের চেয়ারম্যানের চেম্বারে। এটা কি আপনার দায়িত্ব? কি দায়িত্ব পালন করছেন। জাহাজের ব্যবসা, লোহার ব্যবসা, ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার ব্যবসা। সেটা তো আপনার কাজ নয়।