
চট্টগ্রাম মহানগরীর নগরীর লালখান বাজার এলাকায় যুবলীগ সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হয়েছে অপর এক যুবলীগ সন্ত্রাসী মোহাম্মদ শরীফ ওরফে টেম্পু শরিফ (২৩)। আজ মঙ্গলবার রাতে তাকে গুরুতর আহতবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর রাত সোয়া ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম পাঠক ডট নিউজকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
জানাগেছে মঙ্গলবার নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকায় নগর ছাত্রলীগের সাথে পুলিশের সংর্ঘষের পর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ওয়াসার মোড় হয়ে জিইসির দিকে মিছিল নিয়ে যাবার সময় লালখান বাজার এলাকার যুবলীগ সন্ত্রাসী দিদারুল আলম মাসুম গ্রুপের সাথে ছাত্রলীগ কর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এসময় মাসুম গ্রুপের ছেলেরা মোহাম্মদ শরীফ ওরফে টেম্পু শরিফকে তুলে নিয়ে যায়। তাকে লালখান বাজারের ভীতরে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
তবে ছাত্রলীগের সাথে যুবলীগের মাসুম গ্রুপের সংর্ঘষের হলেও টেম্পু শরিফ হত্যার ঘটনাটা আলাদা ঘটনা বলে জানায় ছাত্রলীগ নেতারা।
জানাগেছে টেম্পু সফিক মূলত দিদারুল আলম মাসুম গ্রুপের অভন্তরীণ বিরোধের শিকার।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালের ২৮ মে লালখান বাজারের যুবলীগ কর্মী খোকন সরকার হত্যা মামলার আসামী ছিল টেম্পু সফিক। মূলত সে খুনের জের ধরে প্রতিপক্ষ লোকজন তাকে হত্যা করেছে।
গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফ’র এক কর্মকর্তরা জানান, খোকন সরকার হত্যা মামলায় গ্রেফতার হয়ে দীর্ঘদিন জেল খাটার পর মাত্র একমাস আগে টেম্পু সফিক জাসিনে মুক্তি পায়।
আজ বিকালে সে কোতোয়ালী থেকে লালখান বাজারে দিকে যাওয়ার সময় প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে হত্যা করেছে।
খুলশী থানার ওসি নিজাম উদ্দিন, হত্যার কথা স্বীকার করে বলেন, এটা লালখান বাজার এলাকার অভ্যন্তরীণ বিরোধ। রাজনৈতিক হত্যা না। ২০১৫ সালের একটি হত্যার প্রতিশোধ নিতে একটি পক্ষ সফিককে ধরে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। নিহত সফিক সন্ত্রাসী ছিল। তার বিরুদ্ধে হত্যা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
তার হত্যার ব্যাপারে মামলা প্রস্তুতি চলছে। এবং হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।