ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

লাকী আখন্দকে শহীদ মিনারে রাষ্ট্রীয় সম্মান

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বৃষ্টি উপেক্ষা করে লাকী আখন্দকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এসেছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। সকাল সোয়া ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই শিল্পীকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমার নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা লাকী আখান্দকে রাষ্ট্রীয় সম্মান জানান।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘এই বীর মুক্তিযোদ্ধা-শব্দসৈনিক আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল। তার কন্যাকে বলতে চাই, আমাদের পক্ষ থেকে যা করণীয়, সেটা করবো। আপনাদের কোনও প্রত্যাশা থাকলেও জানাবেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ও আমার বন্ধু লাকীর জন্য যা করণীয় আমি করবো। কথা দিলাম। তার গান এ দেশের মানুষ মনে রাখবে।’

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, লাকী আখন্দ মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন তার গানের মধ্য দিয়ে। শুধু বাংলাদেশে নয়, তার গান বিশ্ব জুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।’

সকাল ১০টা আরমানিটোলা খেলার মাঠে লাকীর প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পৌনে ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নিয়ে আসা হয় মরদেহ। সেখানে তাকে শেষ বিদায় জানানো হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করা হয়েছে।

শহীদ মিনারের লাকীর পরিবারের সদস্য, স্বজন ছাড়াও হাজির হয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, টিভি ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর, সংগীতশিল্পী নকীব খান, খুরশিদ আলম, ফকির আলমগীর, গীতিকবি শহীদুল্লাহ ফরায়জী, কবির বকুলসহ অনেকেই।

আগেই জানানো হয়েছে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে লাকী আখান্দের দ্বিতীয় জানাজা হবে। এরপর দুপুরেই লাকী আখন্দকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

শুক্রবার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ কণ্ঠ সৈনিক। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর জীবন থেমে গেল ৬১ বছর বয়সে।

আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রথমবারের মতো একক অ্যালবাম বের করেন লাকী আখন্দ। ওই অ্যালবামের ‘এই নীল মণিহার’, ‘আমায় ডেকো না’, ‘রীতিনীতি জানি না’, ‘মামনিয়া’, ‘আগে যদি জানতাম’ গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন এ গুণী শিল্পী। এক দশক পর ১৯৯৮ সালে ‘পরিচয় কবে হবে’ ও ‘বিতৃষ্ণা জীবনে আমার’ অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও শ্রোতাদের মাঝে ফিরে আসেন লাকী আখন্দ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print