ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চন্দনাইশে ৪৬ বছরেও ১৯ জন নর-নারী হত্যার বিচার হয়নি

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

গণহত্যার ফাইল ছবি।

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ গাছবাড়িয়া, বুলারতালুক (ক্ষেত্রমোহন পাল) পাল পাড়া গণহত্যা দিবস ছিল ৩০ এপ্রিল রবিবার। ১৯৭১ সালের ৩০ এপ্রিল ভোর রাতে দক্ষিণ গাছবাড়িয়া পাল পাড়ায় (বর্তমান চন্দনাইশ পৌরসভার অংশ) ঘুমন্ত অবস্থায় ১৯ জন স্বাধীনতাকামী নিরীহ বাঙালি হিন্দু নর-নারীকে পাক জান্তা ও তাদের দোসর রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ঘর-বাড়িসহ আগুন লাগিয়ে ১৯ জনকে হত্যা করে। একই সাথে পাল পাড়ার ৫০টির অধিক ঘরবাড়ি গানপাউডার ছিটিয়ে আগুনে পুড়ে ধ্বংসযজ্ঞ ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। লক্ষ লক্ষ টাকার সম্পদ, গৃহপালিত পশুসহ, লুঠ করে নিয়ে যায়।

সেদিনের সেই বেদনাদায়ক স্মৃতি বুকে নিয়ে আজও চন্দনাইশের পাল পাড়ার বাসিন্দারা বেঁচে আছে। অথচ স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশে চন্দনাইশের পাল পাড়া হত্যার বিচার আজও হয়নি। এটি শুধু দুঃখজনক নয়, লজ্জাজনকও বটে।

১৯৭১ সালে ৩০ এপ্রিল যাঁদেরকে ঐসময় আগুনে পুড়ে হত্যা করা হয়েছিল সেই শহীদরা হলেন: আলোরানী পাল (৩২), খগেন্দ্র পাল (৪৫), সুবল পাল (৫০), কিশোর পাল (৪৫), কৃষ্ণ পাল সাধু (৪০), চাঁদো পাল (১৯), হৃদয় পাল (৩৯), ধনপতি পাল (২২), ক্ষীরোদ পাল (৪৭), উত্তরা পাল (৫২), সাধন পাল (৩৫), পেটান পাল (৩৮), নিশী পাল (৫৫), নিকুঞ্জ পাল (৫৫), অমূল্য পাল (৫৭), সুমন্ত পাল (৫৭), শান্তিপদ নাথ (৪৫), শোভন পাল (৭৫), যুগেনন্দ্র বিজয় নাথ (৬০)।

মহান স্বাধীনতার স্মৃতি বিজড়িত চন্দনাইশের পাল পাড়া গণহত্যা দিবস স্মরণে চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্র (সিএইচআরসি) উদ্যোগে ৩০ এপ্রিল রবিবার দুপুরে সংগঠন কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম ইতিহাস চর্চা কেন্দ্রের সভাপতি ইতিহাস গবেষক সোহেল মো. ফখরুদ-দীনের সভাপতিত্বে এ সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক এ কে এম আবু ইউসুফ, সমাজকর্মী শহিদুল ইসলাম চৌধুরী মুন্দার, নয়ন বড়ুয়া, বিমল চক্রবর্তী, মাস্টার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ জামশেদ আলম, হ্যাপী দাশ, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক দিদারুল আলম, মোহাম্মদ আবদুর রহিম, মাস্টার সাইফুল ইসলাম, ডা. লিটন ভট্টাচার্য, সৈয়দ শিবলী সাদিক কফিল, কবি হাবিবুর রহমান, কবি অরুপ চন্দ্র পাল প্রমুখ।

সভার শুরুতে ১৯৭১ সালে ৩০ এপ্রিল নিরীহ বাঙালি সেই চন্দনাইশের পাল পাড়ার গণহত্যায় ১৯ শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।

সভায় বক্তারা বলেছেন, বর্তমান সময়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে চন্দনাইশের অনেক দেশ প্রেমিক যোদ্ধা প্রাণ দিয়েছেন। সেই স্মৃতিগুলো ধরে রাখা এখন সময়ের দাবি। চন্দনাইশের পাল পাড়ায় ১৯ জন হত্যার স্মৃতি জড়িত জায়গায় সরকারি উদ্যোগে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবী জানান বক্তারা।

একই সাথে চন্দনাইশের কৃতিসন্তান শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সবুর খান, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মুরিদুল আলম সহ সকল মুক্তিযোদ্ধা হত্যার বিচার যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানানো হয়। সভায় চন্দনাইশের পাল পাড়ার গণহত্যায় নিহত পরিবারের প্রতি রাষ্ট্রীয়ভাবে আর্থিক সাহায্যে প্রদানের দাবী জানানো হয়। সুত্রঃ প্রেসবিজ্ঞপ্তি

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print