
সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা, নগরীর ইপিজেড মোড়ে গাড়ির জন্য দাড়িয়ে আছেন ফিরোজ আলম। ফিরোজ আলম একটি ঔষুধ কোম্পানিতে সিনিয়র এরিয়া ম্যানেজার। প্রতিদিনের মত আজকেও তার গন্তব্য স্থান ইপিজেড থেকে অলংকার। কিন্তু বাসশূণ্য নগরী তাকে আজ ভোগান্তিতে ফেলে দিল।

এমনি ভোগান্তির স্বীকার করে তিনি বলেন, বাসের ১০ টাকার ভাড়া দিয়ে প্রতিদিন অফিসে যাই। আজ বাস না থাকায় এখন দিতে হচ্ছে দশ গুনেরও বেশি।
একের পর এক সিএনজি আর রিক্সা এসে ডাক দিচ্ছেন যেন এগুলো লোকাল পরিবহন। সিএনজি এসে ডাক দিচ্ছে ৫ জন পাঁচ শ, রিক্সা এসে জায়গার নাম অর্থাৎ ইপেজেড আগ্রাবাদ ১ জন পঞ্চাশ টাকা। এভাবেই যাচ্ছে আমাদেরমত খেটে খাওয়া মানুষের দিন যা দেখার জন্য নেই কেউ বলে তিনি অভিযোগ করে।

আগ্রাবাদ মোড়ে ভাড়া নিয়ে এমনি আরেকটি অভিযোগ করে ইয়ংওয়ানের ট্রেনিং লিডার অঞ্জয়। তিনি পাঠক ডট নিউজকে জানান, তিনি যাবেন লালখান বাজার । আর তাই এই নিয়ে তাকে ইপিজেড থেকে আগ্রাবাদ পর্যন্ত আসতে রিক্সা ওয়ালাকে দিতে হয় পঞ্চাশ টাকা। এরপর এখান থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত তাকে আবার গুনতে হবে পঞ্চাশ টাকা। আর রিক্সায় তার প্রতিবার সঙ্গী হবে অপরিচিত আরো দুইজন।
তিনি আরে জানায় মে দিবস নিয়ে বাস শ্রমিকদের এ কেমন দাবি? যদি তাদের কোন দাবি থাকে তারা এর আগে মালিক পক্ষের সাথে কথা বলে তাদের দাবি যদি মিটিয়ে নিতো তাহলে আমাদের আজ এতো ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।

ফিরোজ আর অঞ্জয়ের অভিযোগকে কেন্দ্র করে সিএনজি ও রিক্সা ওয়ালার সাথে কথা বলতে গেলে সিএনজি চালকরা দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে প্রতিবেদককে এড়িয়ে যায়।
ইপিজিডের মোড়ে কথা হয় রিক্সা চালক নাছিরের সাথে। তিনি ইপিজেড মোড়ে আগ্রাবাদ একজন পঞ্চাশ টাকা করে ডাকতে থাকলে প্রতিবেদক জানতে চায়, আপনি কি লোকাল ভাড়া টানছেন? তিনি বলেন জ্বী ভাই।
কেন টানছেন ভাই? তিনি বলেন যাত্রীদের সুবিধার জন্য।
যাত্রীদের সুবিধার জন্য হলে কেন ভাড়া দ্বিগুন নিচ্ছেন? তিনি বলেন দূরের ভাড়া তাই একসাথে দুই তিনজন নিলে আমারও ভাড়ায় হয় যাত্রীরাও তাদের জায়গায় পৌঁছাতে পারে।
কিন্তু যাত্রীরাতো বলছেন আপনারা অধিক ভাড়া নিচ্ছেন ? ভাই এর কমে শুধু আমি না কোন রিক্সাওয়ালাই যাবে না।
এ অবস্থা শুধু আগ্রবাদ কিংবা ইপিজেড নয় এ দৃশ পুরা নগরী জুড়ে।
পহেলা মে উপলক্ষে পরিবহণ শ্রমিকরা ছুটি ভোগ করার কারণে আজ সোমবার থেকে নগরীনহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে যাত্রীবাহি বাস এবং মালামাল পরিবহণকারী গাড়ি বন্ধ রয়েছে।
অনাকাঙ্খিত এ অঘোষিত পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।