
কক্সকাজার সমুদ্র সৈকতে সফরে এসে ইনানী বিচে সাগর জলে পা ভেজালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে বেশ উচ্ছ্বসিত দেখাচ্ছিল।
শনিবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় তিনি সৈকতে নেমে যান। এসময় কিছুক্ষণ খালি পায়ে হাঁটেন তিনি। এসময় পানিতেও নামেন তিনি।
এর আগে শনিবার (৬ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় বে ওয়াচ রিসোর্টের সামনে সৈকতের বেলাভূমির মঞ্চ থেকে কক্সবাজার-টেকনাফ ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ মেরিন ড্রাইভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেখানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। এর আগে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী উপভোগ করেন স্থানীয় নৃ গোষ্ঠীর অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনা বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে শৈশবে সমুদ্র দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানান।
ইনানির সঙ্গে জড়িয়ে আছেন বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিও। ১৯৫৮ সালে সামরিক শাসনামলে অরণ্যঘেরা ইনানীর চেনছড়ি গ্রামে বেশ কিছু দিন ছিলেন বাংলাদেশের জাতির জনক।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যে শেখ হাসিনা আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রধান পর্যটন শহর কক্সবাজারকে আরও আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তোলা হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের বক্তব্যের পরপরই সফরসঙ্গী ও মেরিন ড্রাইভ নির্মাণকারী সেনা সদস্যদেরকে নিয়ে সাগর পাড়ে যান প্রধানমন্ত্রী। উপভোগ করেন বিশাল জলরাশির সৌন্দর্য। সেনা-কর্মকর্তারা এ সময় পোশাক ও জুতা পরিহিত থাকলেও প্রধানমন্ত্রী পানিতে নামেন পায়ের স্যান্ডেল খুলেই। তার মুখে প্রসন্ন হাসিই বলে দিচ্ছিল সময়টা কতটা উপভোগ করেছেন তিনি। পরে বে-ওয়াচ রিসোর্টেই মধ্যাহ্ন ভোজ সারেন তিনি।
এর আগেও নানা সময় ব্যতিক্রমী কাজ করে সমাদৃত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সে ছবি গুলোও এর আগে এসেছে গণমাধ্যমে।
কয়েক মাস আগেই গোপালগঞ্জে নিজ বাড়িতে গিয়ে সকাল বেলা খেয়ালের বসে গ্রাম ঘুরেছেন রিকশা ভ্যানে করে। তারও আগে সুইজারল্যান্ড সফরে গিয়ে বোনের সঙ্গে খেলা করেছেন বরফ নিয়ে।
এছাড়াও গণভবনে শিশুদের সঙ্গে তার প্রায়ই খেলার ছবি দেখেছে দেশবাসী। প্রায়ই তিনি হয়ে যান অন্য রকম, কখনও আনন্দ করেন শিশুদের মতোই। এসব ঘটনাগুলো এক অন্যরকম শেখ হাসিনাকেই তুলে ধরে দেশবাসীর কাছে।