ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

চট্টগ্রামে ৪ কিশোরকে নির্যাতন: নৌ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে পুলিশকে নির্দেশ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

 

নৌ-বাহিনীর গার্ড রুমে নিয়ে এ ৪ কিশোরকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠে।

চট্টগ্রামের নেভাল একাডেমির গার্ড রুমে ধরে নিয়ে ৪ কিশোরের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালিয়ে মাথা মুড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় আদালত দায়ী নৌ-বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে পুলিশ কমিশনার, ডিসি এবং ইপিজেড থানার পুলিশকে নিদের্শ দিয়েছেন।

চট্টগ্রাম চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক এস এম মাসুদ পারভেজ এ নির্দেশ দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ৪ কিশোরের পক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবি মানস দাশ। আজ শনিবার বিকালের দিকে আদালতে আদেশের কপি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পৌছেছে বলে জানান তিনি।

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বশর নৌ বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে আদালতের আদেশের কপি পেয়েছেন স্বীকার করে বলেন, আদালতে নির্দেশে মামলা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

৪ শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে চুল মুড়িয়ে দেয়া হয়।

জানাগেছে, গ্রেফতার হওয়া এই চার শিক্ষার্থীকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আসামী পক্ষের আইনজীবি নৌবাহিনীর হেফজতে থাকা কালীন তার আসামীদের অমানষিক নির্যাতন করা হয় বলে আদালতকে দরখাস্তের মাধ্যমে অবগত করেন। এরপর আদালত আসামী পক্ষের আইনজীবির দেয়া দরখাস্ত ও আসামীদের শরীরের জখম বিবেচনা করে নৌবাহিনীর দোষী সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করার নির্দেশ দেয় পুলিশকে।

এব্যাপারে আসামী পক্ষের আইনজীবি মানস দাশ পাঠক ডট নিউজকে জানায়, নৌবাহিনীর মামলায় গ্রেফতারকৃত চার জনই শারিরীক ভাবে নির্যাতিত হয় তাদের হেফাজতে থাকাকালীন যা সম্পূর্ণ আইনি বিরোধী।

তিনি আরো জানান, নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন ২০১৩ এর ২ (৫) ধারা অনুযায়ী যেহেতু নৌবাহিনীর সদস্যদের হেফাজতে আসামীদের নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে সেহেতু আসামীদের জবানবন্দি হতে প্রকাশিত নৌবাহিনীর সদস্য রনি মিয়া, হোসেন, মাজেদুল,মিজান সহ অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জনের বিরুদ্ধে নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারন) আইনের ১৫ ধারা অনুযায়ী মামলা রজু করার জন্য চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, সংশ্লিষ্ট ডিসি ও ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করেন আদলত ।

এছাড়াও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালককে আগামীকাল ৭ই মের মধ্যে আসামীদের দেহে নির্যাতনের চিহ্ন ও নির্যাতনের সঠিক সময় উল্লেখ করে একটি মেডিক্যাল রিপোর্ট আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেন আদালত।

উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে চট্টগ্রামে ইপিজেড থানার নেভি গেইট এলাকায় অবস্থিত বাসমতি রেস্টুরেন্টের সামনে আড্ডা দেয়ার কারণে বিএফ শাহীন কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুল হক (১৮), কুমিল্লা রেসিড্যানশিয়াল কলেজের ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী মিরাজুল হাসান, বেপজা পাবলিক স্কুল থেকে সদ্য এস এস সি পাশ শিক্ষার্থী সীমান্ত বড়ুয়া ও এল এম এফ কোর্সে অধ্যায়নরত প্রশেনজিত মজুমদারকে ধরে নিয়ে যায়।

তাদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, দীর্ঘ ৩ ঘন্টা এ ৪ শিক্ষার্থীকে নৌ বাহিনীর লোকজন গার্ড রুমে ধরে নিয়ে তাদের উপর শাররিক নির্যাতন চালিয়ে মাথা মুড়িয়ে দিয়ে রাতে থানায় সোপর্দ করে। এবং তাদের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর সদস্য মো: রনি মিয়া (পি এম-২) বাদী হয়ে সরকারী কাজে বাধা এবং নৌ সদস্যে উপর হামলার অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

এদিকে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রামের মানবাধিকার আইনজীবি জিয়া হাবিব আহসান পাঠক ডট নিউজকে বলেন, কেউ অপরাধ করলে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করা যেতে পারে। তাকে আটক করে আইনের হাতে সোপর্দ করা যেতে পারে। কিন্তু আইন শৃঙ্খলার বাহিনীর কোন সংস্থা কাউকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতে পারে না।

৪ কিশোরেরকে নিয়ে যা ঘটেছে তা সুস্পষ্ট মানবাধিকারে লংঘন উল্লেখ্য করে  এ আইনজীবি জানান যারা এ জঘন্য ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানিক শান্তির সাথে সাথে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া দরকার। তিনি বলেন, দু্ই একজন খারাপ লোকের কারণে পুরো বাহিনীর সুনাম নস্ট হচ্ছে।

*এ কেমন বর্বরতা!

 

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print