ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

শুধু বদি নয়, ইয়াবা গডফাদার হিসেবে তার ১৫ স্বজনদের নাম রয়েছে!

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

দেশে ইয়াবা চালানের গড ফাদার হিসেবে টেকনাফের সরকার (আওয়ামী লীগ) দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির নাম উচ্চারিত হয়ে আসলেও তিনি বরাবরই অস্বিকার করে আসছিলেন। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণলয়ের সর্বশেষ করা তালিকায় এবার শুধু বদিই নয়, ইয়াবা চোরাচালানের গড ফাদার হিসেবে বদির ভাই, ভাগিনা ও ফুফাতো ভাই ও বেয়াইসহ সহ তার পরিবারের অন্তত ১৫ জনের নাম রয়েছে।

তালিকায় বদির স্বজনদের মধ্যে যাদের নাম রয়েছে।

গত ছয়মাস আগে তৈরী করা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরেএই তালিকাটি ইতোমধ্যে মধ্যে পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পুলিশের সংশ্লিষ্ট বিভাগসহ কক্সবাজার, টেকনাফ, উখিয়াসহ কয়েকটি থানায়।

এদিকে এ তালিকা পাওয়ার পর এবং চোরাচালানিদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির উচ্চারণের কারণে নড়েচড়ে বসেছে স্থানীয় প্রশাসন। পুলিশ বলছে, চোরাচালানিরা যত শক্তিশালীই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

তালিকায় বদির স্বজনদের মধ্যে যাদের নাম রয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে- কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বলেন, আমরা চাচ্ছি এ মাদকের যারা মূল হোতা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার। তার জন্য যা যা তথ্য প্রমান দরকার আমরা তা সংগ্রহ করছি। শীঘ্রই এ অভিযান শুরু হবে। মাদকের বিরুদ্ধে কোন আপোষ নেই, সে যেই হোক, যত শক্তিশালী হোক, যে পজিশনেই থাকুক না কেন, আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো। তিনি বলেন, আমাদের তালিকা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা সমন্বয় করে এটিকে আমরা আপডেট করে ইতোমধ্যে অভিযান শুরু করেছি।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকায় উল্লেখ্য করা হয়েছে, দেশে ভয়ংকর মাদক ইয়াবা চোরাচালানের প্রধান রুট কক্সবাজার। এই জেলার সীমান্ত পার হয়েই প্রতিদিন লাখ লাখ ইয়াবা ঢুকছে মিয়ানমার এবং ভারত থেকে। যার সাথে জড়িত স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি এবং মিয়ানমারের মুন্ডুর কিছু নাগরিক। প্রতিদিন এদের মাধ্যমে বাংলাদেশে ঢুকছে লাখ লাখ পিস মরণ নেশা ইয়াবা।

টেকনাফ-মিয়ানমার এ সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন ঢুকছে লাখ লাখ ইয়াবা।

স্থানীয়রা জানান, কয়েকদিন পরপর পুলিশ নৌ বাহিনী র‌্যাব, কোস্টগার্ড অভিযান চালিয়ে কিছু কিছু ইয়াবা উদ্ধার করলেও মূলত তার কযেকগুন ইয়ার দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা এবং গ্রামেগঞ্জে ছড়িয়ে পড়ছে। নেশাগ্রস্থ হয়ে নানা অসামাজিক  ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ছে যুবসমাজ।

এ পরিস্থিতিতে গেল বছরের অক্টোবরে ইয়াবা চোরাচালানীদের সর্বশেষ একটি তালিকা করে স্বরাস্ট্রমন্ত্রণালয়। যেখানে রয়েছে টেকনাফ-উখিয়া আসনের সরকারদলীয় এমপি আবদুর রহমান বদি ও তার পরিবারের সদস্যসহ ১৫ জনের নাম। যাদের বলা হচ্ছে ইয়াবা চোরাচালানের গডফাদার।

.

এছাড়া তালিকায় আরও ২৩ জনের নাম আছে বলে জানানো হয় একটি বেসরকারী টেলিভিশনের প্রতিবেদনে। যাদেরকে বলা হয়েছে এমপি বদির নিয়ন্ত্রণাধীন চোরাচালানী হিসেবে। তাদের প্রায় সবারই বাড়ি মিয়ানমারের মংডু এলাকায়। পাশাপাশি নাম রয়েছে অনেক পুলিশ ও আনসার সদস্যেরও। যদিও নিজের দায় বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন এমপি বদি।

ইয়াবা চোরাচালানীদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর কঠোর হুঁশিয়ারির পর এখন নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসনও। যদিও প্রশ্ন ওঠেছে, তালিকায় থাকা এসব প্রভাবশালীকে কতটা আইনের আওতায় আনতে পারবে প্রশাসন?

তবে, প্রশাসনের সব বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে পদক্ষেপ নেয়া না হলে ইয়াবা চোরাচালান বন্ধে তেমন কোন ফল আসবেনা বলে মত সংশ্লিষ্টদের।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print