
রাজধানীর বনানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সাফাত আহমেদকে ৬ ও সাদমান সাকিফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ মে) ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম এই রিমান্ড রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলা তদন্তকারী অফিসার পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। শুনানি শেষে আদালত সার্বিক দিব বিবেচনা করে সাফাত আহমেদকে ৬ ও সাদমান সাকিফের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে (ডিবি) প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শুক্রবার (১২ মে) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়েছে। আদালতে হাজির করে তাদের আদালতের গারদ খানায় রাখা হয়েছে।
শুক্রবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) যুগ্ম-কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় জানান, বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি সাফাত ও সাদমানকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে।
উল্লেখ্য, ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে গত ৬ মে বনানী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন দুই তরুণী। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২৮ মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ ও নাঈম আশরাফ ওই দুই তরুণীকে জন্মদিনের দাওয়াত দেয়। এরপর তাদের বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি নামের হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এজাহারে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানে দুই তরুণীকে হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে ধর্ষণ করে সাফাত ও নাঈম।
এ ঘটনা সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয় বলেও উল্লেখ করা হয় এজাহারে। ধর্ষণ মামলার আসামিরা হলো- সাফাত আহমদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
*দুই তরুণী ধর্ষণ মামলায় আপন জুয়েলার্সের ছেলেসহ দুই ধর্ষক গ্রেফতার