ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

আগামীকাল রাঙামাটিতে মহাসমাবেশ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজী, খুন, গুম এবং অব্যাহত অপহরণের প্রতিবাদে আগামীকাল ১৪ মে রবিবার রাঙামাটি শহরের জিমনেশিয়াম চত্ত্বরে এক মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে।

নির্যাতিত নীপিড়ীত পার্বত্যবাসীর ব্যানারে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে আয়োজক কমিটি কর্তৃক আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।

আজ শনিবার দুপুরে রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এর কনফারেন্সরুমে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে এসব তথ্য তুলে ধরেন মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম মুন্না।

এসময় আয়োজক কমিটির অপরাপর সদস্য জাহাঙ্গীর কামাল, এডভোকেট পারভেজ তালুকদার, বেগম নুর জাহান, কাজী মোঃ জালোয়া, ইঞ্জিনিয়ার সাহাদাৎ ফরায়জী সাকিব ও জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,

পাহাড়ে প্রতিনিয়ত হত্যা-গুমসহ অপহরণের ঘটনাগুলোতে মানবাধিকার কমিশনসহ মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলো সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে বিতর্কিত অবস্থান নিচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, ছাদেকুল, মোহিনী ত্রিপুরার মতো নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে এসব মানবাধিকার সংস্থা রহস্যজনকভাবে নিরব ভূমিকা পালন করছে।

পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক পরিস্থিতি, দীর্ঘ সময়ের রক্তাক্ত ইতিহাস, সবুজ পাহাড়ে বারুদের গন্ধ, শান্তি প্রচেষ্টায় সরকারের উদ্যোগ, আর্থ সামাজিক উন্নয়ন এবং পিছিয়ে পড়া এ অঞ্চলের স্বপ্ন এবং পরিকল্পনা কোনো কিছুই আপনাদের অজানা নয়।

আপনারা এও জানেন প্রায় তিন দশক সময়কাল পার্বত্য চট্টগ্রামে চলা রক্তের হোলিখেলার মাঝে যখন সরকার পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল তখন থেকেই পার্বত্যবাসী আশায় বুক বেঁেধছিল অপার সম্ভাবনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম এবার উন্নয়নের মহাসড়কে সংযুক্ত হওয়ার পাশাপাশি আপামর জনসাধারণ নির্ভয়ে, স্বস্তিতে এবং নিরাপত্তার সাথে দিনাতিপাত করবে।

কিন্তু আমরা অত্যন্ত পরিতাপের সাথে জানাচ্ছি যে, চুক্তির বিনিময়ে সরকার প্রত্যাগত শরনার্থীদের পুণর্বাসনসহ, আত্মসমর্পণ করা অস্ত্রধারীদের সকলকে এবং তাদের নেতাদের প্রভূত সুযোগ সুবিধা দেওয়ার পরও তারা তাদের সন্ত্রাসী অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পারেননি। বরং চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি ক্রমাগত চাপ সৃষ্টির বিনিময়ে নানা সুযোগ সুবিধা আদায় করে আদায়কৃত অর্থ অবৈধ অস্ত্র ক্রয়ের পিছনে ব্যয় করছে।

চুক্তি সম্পাদনের প্রায় দুইদশক সময় পার হয়ে গেলেও পাহাড়ে কাঙ্খীত শান্তিতো আসেইনি বরং খুন, রাহাজানি, গুম, অপহরণ, সন্ত্রাস এবং চাঁদাবাজি দিনদিন বেড়েই চলেছে। তারা ছোট টং ঘরের দোকান থেকে শুরু করে মাছ ধরার জাল, বোট চালক, অটোরিক্সা, চালক এমনকি ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকদের উপর পর্যন্ত বার্ষিক চাঁদা নির্ধারণ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, দুধের গাভি, যেকোনো ধরণের কৃষিপণ্য, বাঁশ এমনকি কলা এবং করলা গাছের উপরও সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিতে হচ্ছে।

পাহাড়ের আয়ের অন্যতম খাত কাঠ ব্যবসা এবং উন্নয়নের মুল কেন্দ্রবিন্দু ঠিকাদারী ব্যবসার উপর সীমাহীন চাঁদার বোঝাতো বর্ণনারও অতীত। এসব চাঁদাবাজীর খপ্পরে সাধারণ বাঙালি জনগোষ্ঠীতো বটে, গ্রামীণ প্রান্তিক পাহাড়ি পরিবারগুলোও আজ দিশেহারা। তারা না পারছে পাহাড় থেকে বের হতে আর না পারছে এটা কাউকে বলতে। কিন্তু দুঃখের বিষয় এসব চাঁদাবাজী সম্পর্কে গণমাধ্যমে বিচ্ছিন্ন কিছু রিপোর্ট এলেও তা ঢাকায় বসে থাকা

একপেশে বুদ্ধিজীবীদের যুক্তির মুখে জাতীয় পর্যায়ে তেমন কোনো প্রভাব ফেলতে পারছে না। অথচ পাহাড় থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি আজ নতুন নয়। এ নিয়ে পার্বত্যবাসী বেশ কিছু কর্মসূচীও পালন করেছে। সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের নেতৃবৃন্দও বার বার এই দাবির সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

পাহাড়ের সকল জনগোষ্ঠী তথা পাহাড়ি-বাঙালি সকল পর্যায়ের মানুষ আজ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, পাহাড় থেকে শুধুমাত্র অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের মাধ্যমে এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড অর্ধেক কমিয়ে আনা সম্ভব। সন্ত্রাসীদের হাত থেকে অস্ত্র কেড়ে নিতে পারলে তবেই তারা সু-পথে আসার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ প্রশাসন এবং রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হবে। এর রেশ ধরে চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাস ধীরে ধীরে কমে যাবে এবং পাহাড়ের মানুষ স্বস্তিতে ঘুমাতে পারবে।

তাই আমরা মনে করি এসব চাঁদাবাজী খন্ডিত চিত্র নয়, বরং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের মাধ্যমে এই রিপোর্ট ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করা হলে তবেই সরকার ও নীতি নির্ধারক মহল এবং টনক নড়বে এবং গোয়েন্দা বাহিনীগুলো গুরুত্বের সাথে বিষয়গুলো তাদের গোচরে আনতে সক্ষম হবে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print