
রাজধানীর বনানীতে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ‘ধর্ষণের’ নায়ক আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সোমবার রাতে র্যাব-১০ অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, পুরান ঢাকার নবাবপুর থেকে বিল্লাল হোসেন ও মহাখালী এলাকা থেকে রহমতকে গ্রেফতার করে র্যাব।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান জানান, এ বিষয়ে রাত ১০টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে ব্রিফিং করা হয়।

অন্যদিকে ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, গুলশান থেকে আজাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ডিবি জেনেছে, তার নাম রহমত। সে আজাদ নামে চাকরি করত।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে মামলার মূল আসামি সাফাত ও তিন নম্বর আসামি সাদমান সাকিফকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বর্তমানে তারা রিমান্ডে। এরপর আজ (সোমবার) সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী আজাদকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে এ মামলার মোট পাঁচ আসামির চারজনই গ্রেফতার হলো।
তবে দুই নম্বর আসামি নাঈম আশরাফ এখনও পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে অভিযোগের পাহাড়। পুলিশি অনুসন্ধানে জানা গেছে, নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলা গান্ধাইল গ্রামের আমজাদ হোসেন ফেরিওয়ালার ছেলে এইচএম হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ।
বাবার নাম-পরিচয় গোপন রেখে এক মেয়ের সঙ্গে প্রতারণার দায়ে গণপিটুনির শিকার হয় সে। ঢাকায় এসে সে নিজের নাম পাল্টে রাখে নাঈম আশরাফ। বাবার নাম-পরিচয় বদলে এ পর্যন্ত বিয়ে করেছে তিনটি। দুই স্ত্রী তার প্রকৃত পরিচয় জেনে চলে গেলেও তৃতীয় স্ত্রীকে নিয়ে এখন ঢাকায় বসবাস করছে বনানীর ধর্ষণ মামলার দুই নম্বর আসামি।