ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

উত্তর দক্ষিণ জেলা বিএনপির কোন্দল: দুই নেতাকে বহিস্কার, একজনকে শোকজ এর সিদ্ধান্ত

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সারাদেশে দল পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে প্রথম দফায় চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণ জেলা বিএনপির  কর্মীসভায় গ্রুপিং, মারামারিতে সভা পণ্ড হয়ে যাওয়ার ঘটনায় দারুণভাবে ক্ষুব্দ হয়েছেন দলীয় চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

সোমবার রাতে চট্টগ্রামের শীর্ষ নেতাদের ঢাকায় ডেকে নিয়ে তীব্র ভর্সনা এবং ‘সতর্ক’ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

সোমবার রাতে গুলশানে নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে কোন্দল নিরসনে বৈঠকে বসেন তিনি। রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন বেগম জিয়া।

কেন্দ্রিয় বিএনপির কয়েকজন নেতা বৈঠকের বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তবে এ বৈঠকের কথা গণমাধ্যমকে অবহিত করা হয়নি দলীয় সূত্রে বৈঠক কথা জানা গেছে।

সুত্র জানায়, গত ২ মে মঙ্গলবার নামিন ভবনের সামনে উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশে গিয়াস কাদের এবং আসলাম চৌধুরী গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘষে অন্তত ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়। এসময় মঞ্চ ও চেয়ার ভাঙচুর করে সভা পণ্ড করে দেয়া হয়।

পরদিন দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাও দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের কারণে পণ্ড হয়ে যায়। সমবেশে পটিয়ার এ সভায় নেতাকর্মী নিয়ে যোগ দিতে গিয়ে গাজি শাহজাহান গ্রুপের হামলায় আহত হন এনামুল হক এনামসহ অন্তত ৩০ জন। সমাবেশ যোগ না দিয়েই পটিয়া থেকে চট্টগ্রামে ফিরে আসেন কেন্দ্রিয় নেতারা।

এসব ঘটনার জন্য গিয়াস কাদের চৌধুরী, গাজী শাহজাহান জুয়েল, আব্দুল্লাহ আল হাসানসহ বেশ কয়েকজন নেতাকে তীব্রভাবে সমালোচনা করে তাদের সতর্ক করেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া।

সুত্র জানায়, এসব নেতাদের মধ্যে গাজী শাহজাহান জুয়েল এবং আব্দুল্লাহ আল হাসানকে দল থেকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে একাধিক সুত্র নিশ্চিত করে। আগামী কাল পরশু মধ্যে তাদেরকে বহিস্কারে চিঠি পাঠানো হতে পারে।

এদিকে দলীয় কোন্দল ছাড়াও পার্বত্য জেলায় দল গঠনে বিশেষ দায়িত্ব পাওয়া কেন্দ্রিয় বিএনপি নেতা ও চট্টগ্রামের সাবেক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে বিশেষ সুবিধা আদায় এবং অর্থ আদায়সহ অনৈতিক কর্মকাণ্ড, আয় বহির্ভূত বিলাস বহুল গাড়ি হাকার কারণে ঐ নেতাকে শোকজ্ব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রিয় বিএনপি।

গতকাল রাতের এ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির, আব্দুল্লাহ আল নোমান, গিয়াস কাদের চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য গোলাম আকবর খন্দকার, এসএম ফজলুর হক, মহানগর সভাপতি শাহাদাত হোসেন, দক্ষিণের সভাপতি জাফরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহজাহান জুয়েল, সহসভাপতি এনামূল হক এনাম, ‍উত্তরের সদস্য সচিব কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান শামীম প্রমুখ।

বিএনপির পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্র থেকে ৫১টি টিম গঠন করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম উত্তর, দক্ষিণ ও মহানগরের দায়িত্বে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গত ২ মে চট্টগ্রাম উত্তর এবং ৩ মে দক্ষিণের কর্মীসভা দলীয় কোন্দলের কারণে মারামারিতে পণ্ড হয়ে যায়। পরে ৪ মে মহানগর বিএনপির কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print