
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগরীর উদ্যোগে আজ আনন্দ শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। নগরীর দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে আজ বুধবার দুপুর ১২ টায় শুরু হয়ে নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, সিনেমা প্লেইস মোড় হয়ে লালদীঘি মোড় প্রদক্ষিণ করে কোতোয়ালী মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
সংগঠনের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির পরিচালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি মঈন হাসান চৌধুরী শিমুল, শাহীন মোল্লা, ওমর ফারুক, মো: শাকিল, সরওয়ার উদ্দিন, রোকন উদ্দিন রানা, নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, গোলাম সামদানি জনি, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদুল আলম মানিক, হাশমত আলী রাসেল।
এসময় বক্তারা বলেন, জাতির ক্রান্তিলগ্নে, নিজের জীবনকে দেশমাতৃকার জন্য উৎসর্গ করার শপথ নিয়ে ১৯৮১ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধু তনয়া দেশরত্ম শেখ হাসিনার স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করে। ১৯৮১ সালের সেই দুঃসহ দিনটিতে শেখ হাসিনার দেশে ফেরার কথা আলোকপাত করে ছাত্র নেতারা বলেন, “কালো মেঘের বুক ছিড়ে শেখ হাসিনা আজ সমগ্র জাতির বাতিঘর হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। স্বজন হারানোর বেদনা ভুলতে তিনি বাংলার দুঃখী মানুষের চোখের জল মুছার কাজটি করেছেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনকে শেখ হাসিনা নিজের জীবন বাজী রেখে স্বার্থক ও সফল করে বাঙালির গণতন্ত্রের স্বাদ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন।
তারা আরো বলেন ৭৫’ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশকে মৌলবাদ রাষ্ট্রের নিরাপদ আশ্রয় করে দিয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান। দেশের রাজনীতিতে কুক্ষিগত করে ক্ষমতার স্বাদ নিয়েছিল জেনারেল এরশাদ। বেগম খালেদা জিয়া তার অদূরদর্শী রাজনীতিকে পুঁজি করে বার বার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলেও লুঠপাট ছাড়া কিছু দিতে পারেননি এই জাতিকে। দেশদ্রোহীদের সাথে আতাতের রাজনীতি করে দেশকে বানিয়েছিলেন বাংলা ভাইদের জঙ্গী আশ্রম। বিশ্ব দরবারে বার বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ান হয়ে বিশ্বের কাছে জাতিকে করেছিলেন অপমানিতা। কিন্তু প্রতিবন্ধকতা জয় করা মহীয়সী নারী শেখ হাসিনা দেশের গণতন্ত্রের বিজয় যেমনি এনে দিয়েছে তেমনি দেশকে হাটাতে শিখিয়েছে উন্নয়নের পথে। দুর্নীতিতে বাংলাদেশ এখন আর চ্যাম্পিয়ান হয় না। জাতীয় দুর্নীতির অপবাদ আর জঙ্গীবাদকে নির্মূল করে জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার পথে বহুদূর এগিয়েছেন শেখ হাাসিনা। দেশকে পরিচিত করেছেন উন্নয়নশীল রাষ্ট্র আর সুখী দেশের নামের তালিকায়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সম্পাদক ইমতিয়াজ আকবর, আবুল মনসুর টিটু, মিনহাজুল আবেদিন সানি, মিয়া মো: জুলফিকার, অসিউর রহমান, উপ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান রনি, ইমতিয়াজ আকবর, আবু হানিফ রিয়াদ, আব্দুল আহাদ, শেখ সরফুদ্দীন সৌরভ, নাছির উদ্দিন কুতুবী, সহ সম্পাদক অরভিন শাকিল ইভান, আব্দুল মান্নান রুবেল, সুদীপ্ত বিশ্বাস, শেখর দাশ, সদস্য মিজানুর রহমান মিজান, আবু সালেহ নূর রিমন, জাকারিয়া হাব্বি জাবির, ফারিয়া আকবর রিয়া, আরাফাত রুবেল, ইসমাইল হোসেন বাতেন, পাভেল চৌধুরী, ফাহাত আনিছ, আসাদুজ্জামান জেবিন, গাজী আক্কাছ, মোরশেদুল আলম বাবলু, সৈকত দাশ, ওমর ফরুক সুমন, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম শহীদ, এম ই এস কলেজ ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ আনিছুর রহমান, তোফায়েল আহমেদ মামুন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা নাবির আহমেদ লিটন, শুভ ঘোষ, সোহেল আরমান, পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগনেতা শাহাদাত হোসেন পারভেজ, মহসিন কলেজ ছাত্রলীগনেতা কাজী নাঈম, শাহেদ চৌধুরী, মায়মুন উদ্দীন মামুন, মোঃ ফখরুজ্জামান আল ফয়সাল, কর্মাস কলেজ নবাব হোসেন মুন্না, আইন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নোমান জিহাদ, ছাত্র সংসদের এজিএস রিদুয়ান লাভলু সহ প্রমুখ।