
চট্টগ্রামে অর্পীতা ধর নামে এক কলেজ ছাত্রীকে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর অপহরণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ অর্পীতাকে উদ্ধার করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেন তার পরিবার।
তবে পুলিশ বলছে, অপহরণ নয়, অর্পীতা স্বেচ্ছায় তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। তারপরও যেহেতু মামলা হয়েছে সেহেতু পুলিশ তাকে উদ্ধারে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করছে। শীঘ্রই তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, চট্টগ্রাম মহিলা সমিতি স্কুল এন্ড কলেজের এইচ. এস. সি পরিক্ষার্থী অর্পিতা ধর গত ২৯ এপ্রিল চট্টগ্রাম সিটি কলেজ থেকে এইচ. এস. সি পরীক্ষা দিয়ে বাহির হওয়ার পর পরই নিখোঁজ হয়।
পরে পরিবারের পক্ষ থেকে অর্পীতাকে পরিকল্পিতভাবে অপরহরণ করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ এনে তার পিতা পুলিন ধর বাদী হয়ে গত ২ মে নগরীর সদরঘাট থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। (মামলা নং-০২ থানায় ০২/০৫/২০১৭ইং)
মামলায় জয় ধর (২৫), তার পিতা স্বপন ধর, মা শেলী ধরকে আসামী করা হয়। মা-বাবা দুজন উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
খবর নিয়ে জানাগেছে, আসামীরা বাদীর নিকট আত্মীয়। সে সুত্রে কথিত অপহৃত অর্পীতার তার তালতো ভাই সম্পর্কিত জয়ধরের প্রেমের সর্ম্পক ছিল। উভয় পরিবার এ সম্পর্ক মেনে না নেয়ায় এইচ এস সি পরিক্ষার শেষ দিনে অর্পীতা তার প্রেমিক জয়ের সাথে পালিয়ে যায়।
এদিকে অর্পীতা প্রেমিকের হাত ধরে স্বেচ্চায় পালিয়ে গেলেও এনিয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর ঘটনার প্রায় এক মাস হতে চললেও পুলিশ অর্পীতাকে উদ্ধার এবং কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি বলে অভিযোগ করেন মামলার বাদি ও অর্পীতার বাবা পুলিন ধর। অর্পিতা ধর এখন কোথায় কি অবস্থায় আছে তাও কেউ জানেনা তারা।
এদিকে মেয়েকে উদ্ধারে পুলিশের নিস্কৃতার অভিযোগ তুলে অর্পিতার বাবা পুলিশের আই.জি.পি, র্যাব প্রধান এবং পুলিশ কমিশনার সি.এম.পি. অধিনায়ক র্যাব- ৭ ও উপ পুলিশ কমিশনার (ডিবি দক্ষিন ও উত্তর) এর বরাবরে আবেদন করেন।
অর্পিতার মা বাবা সন্দেহ করেন যে, অপহরণকারীরা অর্পিতাকে ভারতে নিয়ে যেতে পারে।
ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাইলে সিএমপির সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আক্তার বলেন, কাউকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে অপহরণ করলে উদ্ধার করা যায়। কিন্তু স্বেচ্চায় পালিয়ে থাকলে তাকে বের করা কঠিন। অর্পীতা প্রেম করে তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছে। তার পরও যেহেতেু অপহরণ মামলা হয়েছে তাই আমরা তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চলাচ্ছি।
ইতোমধ্যে আমরা জেনেছি তারা ঢাকায় অবস্থান করছে। কিন্তু এতোবড় ঢাকা শহরে কোথাই তাদের অবস্থান সেটা বের করতে সময় লাগছে। তবে শীঘ্রই আমরা তাকে উদ্ধার করতে পারবো।
উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে সদরঘাট থানার নিস্কৃয়তার অভিযোগ প্রসংঙ্গে তিনি বলেন, মেয়ে অন্যের হাত ধরে পালিয়ে যাবে সেটাও পুলিশের দোষ! অভিযোগ দিলে কি আর করবো। আমরাতো চেষ্টা করছি। আমরা বসে নেই।