ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

পটিয়ার সেই আলোচিত এসআই কুতুব উদ্দিন ক্লোজড

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

এসআই কুতুব উদ্দিন।

চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় আলোচিত পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনার আড়াই বছর পর দায় স্বীকার করে ফেঁসে গেছেন পটিয়ার থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) কুতুব উদ্দিন। এ ঘটনায় তাকে প্রত্যাহার (ক্লোজড) করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার (২৯ মে) রাতে এসআই কুতুব উদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান, পটিয়া থানার ওসি শেখ নিয়ামত উল্লাহ।

.

অভিযুক্ত পুলিশের এ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে হয়রানীর মাধ্যমে আলোচিত পিতা-পুত্রের মৃত্যুর দায় ছাড়াও গ্রেফতার বাণিজ্য, নিরীহ মানুষকে হয়রানির, ৫ বার বদলী ঠেকানো, চাঁদাবাজিসহ অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

রবিবার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়ার উপস্থিতিতে এসআই কুতুব উদ্দিনের অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের বিষয় তদন্তকালে এসআই কুতুব আড়াই বছর আগে তার কারণে উপজেলার হাইদগাঁও ইউনিয়নের পূর্ব হাইদগাঁও ডুয়ারপাড়া এলাকায় আবু ছিদ্দিক (৫৫) ও তার পুত্র রহিম বাদশা (২৫) মারা যান বলে স্বীকার করে অনুশোচনা করেন। এ সময় সেখানে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ নেয়ামত উল্লাহসহ বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, পটিয়া থানা পুলিশ বিনা কারণে উপজেলার হাইদগাঁও গ্রামের রহিম বাদশাকে আটক করে। পরে থানার এসআই কুতুব রহিম বাদশাকে মারধর ও বৈদ্যুতিক শর্ট দিয়ে নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে উপজেলার কোলাগাঁও এলাকার অজ্ঞাতনামা মহিলা হত্যা মামলায় তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে ওই মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়। চূড়ান্ত প্রতিবেদনে রহিম জড়িত নয় বলে উল্লেখ করা হয়।

বিনা অপরাধে জেলে যাওয়া পুত্র শোকে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর আবু ছিদ্দিক স্ট্রোক করে মারা যায়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর রহিম কারামুক্তি হয়। কারামুক্তির পর ৫ ডিসেম্বর পিতার শোকে ও পারিবারিক অপবাদ-ক্ষোভে অভিমানে পুত্র রহিম বাড়ির আঙ্গিনায় একটি গাছের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।

দীর্ঘ আড়াই বছর পর তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই কুতুবউদ্দিন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়ার সামনে পিতা-পুত্রের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে অনুশোচনা করেন। তবে হত্যা মামলায় জেলহাজতে প্রেরণের ঘটনা তত্কালীন ওসি রেফায়েত উল্লাহ’র ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেন।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়া বলেন, পিতা-পুত্র মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে এসআই কুতুব অনুশোচনা করেছে। তবে সে তত্কালীন ওসির কথা বললেও নিয়ম অনুযায়ী মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাই দায়ী।

উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে এসআই কুতুবের অনিয়ম,দূর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্যসহ এলাকার নিরীহ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির তদন্ত শুরু করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ) এমরান ভুঁইয়া।

 

সর্বশেষ

০৯ নং ওয়ার্ড জাসাস কমিটি অনুমোদিত

বাংলাদেশের রাজনীতিতে ৪৭ বছর ⦿বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print