ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

মোরা’র তাণ্ডব: বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেল চট্টগ্রামবাসী

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম উপকূলীয় এলাকা অতিক্রম করলেও তেমন বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিছু কাঁচা বাড়িঘর গাছপাড়া ভেঙ্গে পড়েছে। মোরা’র আঘাতে চট্টগ্রামের ৭টি ঝুঁকিপূর্ণ উপজেলা বাঁশখালী, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, কর্ণফুলী এলাকায় এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

তবে চট্টগ্রামের এসব এলাকায় দমকা হাওয়ায় ও ভারি বৃষ্টিপাতে কিছু গাছ-পালা ও ঘর-বাড়ি উপড়ে গেছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোরা চট্টগ্রাম অতিক্রমকালে তেমন বড় কোনো ক্ষতি নগরীতে হয়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. জসীম উদ্দিন।তিনি জানান, ঝড়ে গাছের ডালপালা ভেঙ্গে রাস্তাঘাটে পড়েছিলো। বিদ্যুতের লাইনের ওপর পড়ে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনে ক্রুটি দেখা যায়। বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা যোগ হয়ে বিদ্যুতের তারের ওপর থেকে ডালপালাগুলো পরিস্কার করে। এরপরই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় বেলা সোয়া দুইটার দিকে।

.

জসীম উদ্দিন আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম অতিক্রম করলে ঝড়কে দুর্বল করতে আরো বৃষ্টিপাত চট্টগ্রামে হতে পারে। ফলে পাহাড় ও ভূমি ধ্বসের আশংকাং ৮টি টিম প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে।

উপকূলীয় এলাকাতেও ফায়ার সার্ভিস টিম কাজ করছে বলে জানান তিনি। তবে নগরীতে বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি ঢোকার খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান তিনি।

তবে আনোয়ারা, সন্দ্বীপ, বাঁশখালীতে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারে পানিতে কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। “মোরা “ অতিক্রম করে গেলেও এর বর্ধিতাংশের প্রভাবে মাঝেমধ্যে চট্টগ্রামে দমকা বাতাস বইছে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের কারণে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি বলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বে থাকা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাইনি। তবে উপকূলীয় কয়েকটি উপজেলায় কিছু ঘর-বাড়ি ও গাছ-পালা উপড়ে যাওয়ার খবর পেয়েছি।’

.

এদিকে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা মাহমুদুল আলম বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়টি বেলা ১টার দিকে চট্টগ্রাম অতিক্রম করেছে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় এখানে বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১২৬ কিলোমিটার।’ দুপুর ২টা পর্যন্ত এখানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান। ঘূর্ণিঝড়ের সময় স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে চার থেকে পাঁচ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

সাতকানিয়ায় ৫শ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থঃ

আমাদের সাতকানিয়া প্রতিনিধি জানানঃ বিভিন্ন উপজেলা থেকে ঘরবাড়ি গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে, এর মধ্যে সাতকানিয়ায় অন্তত ৫শ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। গাছ পালা উপড়ে গেছে হাজারেরও অধিক। বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগ।

.

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ উল্যাহ এ তথ্য জানান। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো অনেক বেশি বলে ধারনা করা হচ্ছে। সাতকানিয়া বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী গোলাম সরওয়ার বলেন, ঘুর্ণিঝড় মোরার কারনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। বৈদ্যুতিক ক্যাবলের উপর অসংখ্য গাছ পালা পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করতে অন্তত ২ দিন লেগে যেতে পারে। সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, সাতকানিয়ার ১৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ঘুর্ণিঝড়ে ঘর বাড়ি, গাছ পালা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির চিত্র আমরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সংগ্রহ করছি। তা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠানো হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ত্রান সহায়তা চাওয়া হবে।

বোয়ালখালীতে ৫টি কাঁচা ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষতিঃ

.

আমাদের বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানানঃ গতকাল সোমবার দুপুর থেকে হালকা বৃষ্টিপাত হলেও আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে দমকা হাওয়ার সাথে বিকেল দুইটা নাগাদ ভারী বৃষ্টিপাত হয়। তবে মঙ্গলবার দমকা হওয়ায় ২৫টি কাঁচা ঘরবাড়ির আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ও গাছের ডালাপালা ভেঙ্গে গেছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিয়া আখতার।

তিনি জানান, এ পর্যন্ত বোয়ালখালী উপজেলায় তেমন একটা ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।পূর্বাভাষ পাওয়ার সাথে সাথে উপজেলার সমস্ত সাইক্লোন সেন্টার খুলে দেয়া হয়। এছাড়া মাইকিং করা হয়। সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হয়। যেসব ঘর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা সরকারি সহায়তা আসলে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বাশঁখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিঃ

.

ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে বাঁশখালীতে ঘরবাড়ি ও গাছপালা ভেঙে পড়ে হয়েছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার খবর মিলেছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে ঘণ্টায় একশ কিলোমিটারের বেশি গতির বাতাস নিয়ে উপকূলরেখা অতিক্রম করা শুরু করে।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তরী বলেন, উপজেলা সদর এবং ছনুয়া ইউনিয়নে ঘরবাড়ি এবং গাছপালা ভাঙার সংবাদ পেয়েছি।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাহারছড়া ইউনিয়ন, গন্ডামারা ও আলোকদিয়া এলাকায় ঝড়ো বাতাসে ঘরবাড়ি ও গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করলেও অন্য উপজেলাগুলো এবং নগরীতে কোথাও কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print