
হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর সেক্রেটারী মাও. মঈনুদ্দীন রুহী বলেছেন, এদেশের অন্যতম নাস্তিক ও হিন্দ্যুত্ববাদের দোসর দুঃচরিত্র নারী সুলতানা কামাল পবিত্র মসজিদকে দেশের মাটি থেকে সরানোর দাবী উঠিয়েছে। সে বলেছে বাংলাদেশের পবিত্র মাটি থেকে নাকি মূর্তি সরাতে হলে আগে মসজিদগুলোকেও সরাতে হবে। সুলতানা কামালের এ দৃষ্টতার খুঁটির জোর কোথায় তা বের করতে হবে।
তিনি আজ রবিবার সন্ধ্যায় নগরীর মুহাম্মদপুর, মুরাদপুর, শুলকবহর ও পাঁচলাইশ এলাকার মুসল্লী ও হেফাজত নেতা-কর্মীদের আয়োজনে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দুষ্টচর, অপদার্থ, নাস্তিক, সুলতানা কামালের আসল চেহারা আবারো জাতির সামনে ফুটে উঠেছে। পবিত্র মাহে রমজানে সারা দেশের মানুষ যখন আল্লাহর করুনা প্রাপ্তির জন্য মুনাজাত আর দোয়াই মগ্ন, ঠিক তখনই সুলতানা কামালের মত নারীর মসজিদ নিয়ে দৃষ্টতাপূর্ণ বক্তব্য মেনে নেয়া যায় না।
মসজিদ নিয়ে কটুক্তির জন্য সুলতানা কামালকে অবশ্যই জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। আর না হলে তরুন প্রজন্ম ও মুক্তিযুদ্ধাদের সন্তানরা তাকে ক্ষমা করবে না।
হেফাজতের এ নেতা আরো বলেন, ঢাকা শহর মসজিদের শহর হিসাবে খ্যাত, মূর্তির শহর হল কলিকাতা, সুলতানা কামালের যদি মসজিদের শহর ভাল না লাগে তাহলে তিনি মূর্তির শহরে চলে গেলে আমাদের আপত্তি নেই, তার উত্তরসুরী তসলিমাতো ঐখানেই বসবাস করেন।
মাওনানা রুহী আরো বলেন, সুলতানা কামালকে ক্ষমা চাইতে হবে জাতির কাছে। যদি তা না হয় বিগত সময়ে এমরান এইচের মত তাকেও চট্টগ্রামের মাটিতে নামতে দেয়া হবে না, সুলতানাকে চট্টগ্রামবাসী অবাঞ্চিত নারী মনে করেন।
রুহী বাংলাদেশে ইসলাম ও মুসলমানদের ইমান আকিদা ও তাহজিব,তমাদ্দুন রক্ষা করতে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশকে আরো মজবুত ও সুসংগঠিত করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সকল মুসলমানকে ঐক্যের আহ্বান জানান। তিনি বলেন এদেশে ইসলাম নিয়ে বেছে থাকতে চাইলে কালিমা পড়ুয়া সকল নাগরিক দলমত নির্বিশেষে এক প্লাটফরমে আসতে হবে। তিনি দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে হেফাজতের কমিটি গঠন করার জন্য সকল ইমানদারদের প্রতি আহ্বান জানান।
মহানগর সহ সভাপতি মাওঃ মুহাম্মদ আলী সাহেবের সভাপতিত্বে নগর প্রচার সম্পাদক মাওঃ আ.ন.ম আহমদ উল্লাহ’র পরিচালানায় অনুষ্ঠিত ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন, সহ সভাপতি মাওঃ হাজি মোজাম্মেল হক, মাওঃ কারী ইদ্রীস, মাওঃ মুফতি হাসান মুরাদাবাদী, মাওঃ আমিন শরীফ, মাওঃ মাহমুদ রশিদ, মাওঃ হাফেজ ফয়সাল তাজ, মাওঃ জয়নাল আবেদীন কুতুবী, মাওঃ সুহাইল সালেহ, মাওঃ মনসূরুল হক, মাওঃ শামসুল হক, মাওঃ এনামুল হক, মাওঃ আবু তাহের উসমানী, মাওঃ অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইউনুচ, মাওঃ জুনাইদ জাওহার, মাওঃ মুহাম্মদ হানিফ, মাওঃ সরওয়ার আলম, মাওঃ ইয়াছির মুহাম্মদ আরিফ, মাওঃ রফিকুল ইসলাম বোওয়ালী, মাওঃ ইকবাল খলীল, মাঃও আজিজুল্লাহ বাবুনগরী,মাঃ মুহাম্মদ ইউচুপ, মাওঃ ওসমান কাসেমী, মাওঃ নাজমুস সাকিব, মাওঃ অলি উল্লাহ নোমান, মাওঃ সাইফুল ইসলাম, মাওঃ কফিল উদ্দীন প্রমুখ।
সুত্রঃ প্রেসবিজ্ঞপ্তি