
রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধিঃ
যুবলীগ নেতা নুরুল ইসলাম নয়নের হত্যাকে কেন্দ্র করে কয়েকশ পাহাড়ি বাড়ি ঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাবাসীর জন্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ঘটনাস্থল লংগদুতে যেতে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে প্রশাসন বাধা দিয়েছে জানিয়ে লংগদু’র নির্মম ঘটনায় সরকার রাজনীতি করছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিনিধি দলের প্রধান বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান।
আজ শুক্রবার (৯ জুন) রাঙামাটি জেলা বিএনপির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করে কেন্দ্রীয় নেতা নোমান আরো বলেন, আমরা লংগদুর ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনতে উক্ত ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।
আজ (শুক্রবার) দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্ঠা সুকুমল বড়ুয়া, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট দীপেন দেওয়ান, সহ-উপজাতীয় বিষয়ক সম্পাদক অব: কর্ণেল মনিষ দেওয়ান, রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহআলম, সাধারন সম্পাদক দীপন তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডভোকেট সাইফূল ইসলাম পনির, যুগ্ন সম্পাদক এ্যাডভোকেট মামনুর রশিদ মামুনসহ বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে আমরা লংগদুর ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়াতে সেখানে যাওয়ার জন্যে ঢাকা থেকে রাঙামাটি পর্যন্ত এসেছি। কিন্তু জেলা প্রশাসন থেকে শুরু করে সেনা প্রশাসন পর্যন্ত কেউই আমাদেরকে লংগদু যাওয়ার ব্যাপারে সহযোগিতা করেনি। আমরা এই ঘটনায় খুবই মর্মাহত হয়েছি। কয়েক বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামে আটজন মোটর সাইকেল চালককে নির্মমভাবে একই কায়দায় হত্যা করা হয়েছে জানিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বলেন, এমতাবস্থায় সরকারী বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক তদন্তের প্রতি মানুষের আস্থা নেই। এসকল ঘটনার পেছনে আরো ঘটনা রয়েছে জানিয়ে লংগদুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।
লংগদু’র প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করতে পুলিশ গণহারে গ্রেফতার অভিযান চালাচ্ছে অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, গণ গ্রেফতার আতঙ্কে অত্র এলাকা বর্তমানে পুরুষশূণ্য হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা বঞ্চিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্থ পাহাড়িরা অবস্থান করছে বনজঙ্গলে। এই অবস্থা থেকে উত্তরনে সকলকে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে এসে প্রয়োজনে গোলটেবিল বৈঠক করে হলেও পাহাড়ি বাঙ্গালী উভয় সম্প্রদায়ের সমঅধিকার নিশ্চিত করতে হবে।