
রাঙামাটিতে পাহাড়ধসে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার পথে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা।
রবিবার (১৮ জুন ) দুপুরে চট্টগ্রাম আদালত পাড়ায় বিএনপি পন্থী আইনজীবীরা বিএনপি সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যাওয়ার সময় চট্টগ্রাম রাঙ্গুনিয়ার ইছাখালীতে পৌঁছার পর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়ি বহরে হামলা’র তীব্র নিন্দা জানিয়ে তাৎক্ষনি চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করেছে।
সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের এ বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট এনামুল হক, এডভোকেট আব্দুস সাত্তার সরওয়ার, বিএনপি নেতা এডভোকেট ইফতেখার হোসেন চৌধুরী মহসিন, এডভোকেট আবদুল কাদের, এডভোকেট হাসান অঅলী চৌধুরী, এডভোকেট আশরাফ হোসেন, এডভোকেট জহিরুল ইসলাম বেলাল, এডভোকেট আরশাদুর রহমান রিন্টু, এডভোকেট মুরশিদ, এডভোকেট এরফান, এডভোকেট মিল্লাত, এডভোকেট রফিক, এডভোকেট উজ্জল, এডভোকেট তৌহিদুল আলম শিকদার, এডভোকেট সালেহীন প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন আইনশৃঙ্খলা ও দলীয় গুন্ডা বাহিনীর সাহায্যে সরকার দেশ চালাচ্ছে। ত্রান বিতরণে যাওয়ার সময় এই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ওপর ন্যাক্কারজনক ও কাপুরুষোচিত হামলার মাধ্যমে বিরোধী দলের উপর দমন-পীড়নের চিত্র আবার ফুটে উঠল। এটি গনতন্ত্রের জন্য বড় বাঁধা।
এভাবে ভয়ভীতি, শঙ্কা ও আতঙ্কের পরিবেশ বজায় রেখে গণপ্রতিবাদকে চাপা দিয়ে রাখাটাই হচ্ছে তাদের মূল লক্ষ্য। সরকার ভক্ষকের ভূমিকা গ্রহণ করার জন্যই বাংলাদেশে মানুষের জীবন-জীবিকা এখন ভয়ংকর নিরাপত্তাহীনতায় বিপন্ন।
“জনসমর্থনহীন ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতেই অপরাধ ও অপরাধীদের সহযোগী হিসেবে বেছে নিয়েছে এই সরকার।”
বক্তারা এ সময় দাবি করেছেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগের কর্মীরাই মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করা হয়।সরকারকে এই দমন-পীড়ন নীতি থেকে সড়ে এসে দেশের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চার পরিবেশ তৈরি করার আহবান জানান বক্তারা। সরকার এটাই বুঝিয়েছে- বাংলাদেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র নেই। বাংলাদেশ সম্পূর্ণ গণতন্ত্রহীন রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে।