
দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ছাড়াও প্রতিনিয়ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রাম-সন্দ্বীপ রুটে চলাচল করছে হাজার হাজার যাত্রী।
সাগরের মাঝে বোট থেকে যেমন সী ট্রাকে উঠতে হচ্ছে, তেমনি সী ট্রাক থেকে বোটে নামতে হচ্ছে সাগরের মাঝেই। নেই দক্ষ বোট চালক, সেই সাথে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহনতো রয়েছেই। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সবশেষ গত ২ এপ্রিল রাতে এধরণের সী ট্রাক থেকে বোটে নামতে গিয়ে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১৯ জনের।

তার পরও টনক নড়েনি কর্তৃপক্ষের এবার ঈদেও সন্দ্বীপবাসীকে প্রতিবারের মতো এবারও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ঈদযাত্রা করতে হবে। সম্প্রতি সন্দ্বীপ চ্যানেলে বড় ধরনের কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটলেও এখনো টনক নড়েনি প্রশাসনের। বরং আবারো ১৪টি ফিটনেসবিহীন ট্রলারে চ্যানেল পাড়ি দিবে হাজারো যাত্রী।
একদিকে ফিটনেসবিহীন ট্রলারে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন অন্যদিকে এবারের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে সন্দ্বীপবাসীর কপালে।

জানা যায়, সীতাকুণ্ড-সন্দ্বীপ রুটে ফেরিঘাটে ১৪টি ট্রলারের কোনোটিতেই ফিটনেস নেই। প্রতিবছর ঈদযাত্রায় এ রুটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের ফলে ট্রলারডুবিতে প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
ঘাট কর্তৃপক্ষ এবং ট্রলারের যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সীতাকুণ্ড থেকে ৭টি ঘাটে সন্দ্বীপে প্রতিদিন যাতায়াত করে প্রায় দুই হাজার যাত্রী। ঈদের সময় এ সংখ্যা বেড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার পর্যন্ত হয়। প্রতিটি ঘাটে প্রতিদিন সকাল-দুপুর দুটি ট্রলার সন্দ্বীপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। এগুলোর একটিরও ফিটনেস নেই।

এদিকে, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী বলেন, সন্দ্বীপ চ্যানেলে অবৈধ কোনো নৌকা চলাচল করলে তাদেরকে মোবাইল কোর্টের আওতায় আনা হবে। প্রতিটি ঘাটে পুলিশ ও জেলা প্রশাসকের লোকজন থাকবে। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ও ভাড়া আদায় করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।