ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সকল প্রকার নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত সোনাদিয়া দ্বীপের মানুষ

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সোনাদিয়া দ্বীপ ঘুরে এসে কামরুল ইসলাম দুলুঃ
কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার ৮ নং কুতুবজোম ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড সোনাদিয়া দ্বীপ। দ্বীপটির নাম যদিও সোনাদিয়া দ্বীপ তবে সোনা সোহাগা নয় এই দ্বীপের মানুষ। চরম অবহেলার মধ্যে দিয়ে জীবন-যাপন মূল ভূখন্ড থেকে সম্পুন্ন বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে বসবাসরত প্রায় দুই হাজার বাসিন্দা।

নেই তাদের লেখাপড়া নেই কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা। সোনাদিয়া দ্বীপ কক্সবাজার জেলার মহেশখালি উপজেলার একটি সুন্দর দ্বীপ। এই দ্বীপটির আয়তন প্রায় ৯ বর্গ কিমি.। কক্সবাজার জেলা সদর থেকে প্রায় ১৫ কিমি উত্তর-পশ্চিমে এবং মহেশখালি দ্বীপের দক্ষিনে সোনাদিয়া দ্বীপটি অবস্থিত। একটি খাল দ্বারা এটি মহেশখালি দ্বীপ থেকে বিছিন্ন হয়েছে। তিন দিকে সমুদ্র সৈকত, সাগর লতায় ঢাকা বালিয়াড়ি, কেয়া- নিশিন্দার ঝোপ, ছোট-বড় খাল বিশিষ্ট প্যারাবন এবং বিচিত্র প্রজাতির জলাচর পাখি দ্বীপটিকে করেছে অনন্য বৈশিষ্ট্যমন্ডিত। সোনাদিয়া দ্বীপের মানব বসতির ইতিহাস মাত্র ১০০-১২৫ বছরের। দ্বীপটি ২টি পাড়ায় বিভক্ত।

.

পূর্ব ও পশ্চিম পাড়া। দ্বীপের মোট জনবসতি প্রায় ২০০০ জন।সরকারী দপ্তরের মধ্যে রয়েছে একমাত্র বন বিভাগের অফিস। সাইক্লোন সেন্টারকে বন বিভাগ অফিস হিসাবে ব্যাবহার করছে। এই দ্বীপে ২টি মসজিদ, ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১টি।সাইক্লোন সেন্টার, আনুমানিক ১২টি গভীর নলকূপ রয়েছে।

পূর্ব পাড়ায় তুলনামূলকভাবে জনবসতি বেশী। মাছ ধরা এবং মাছ শুকানো, চিংড়ি ও মাছের পোনা আহরন দ্বীপের মানুষের প্রধান পেশা। চারিদিকে নোনা পানি বেষ্টিত হওয়ায় এই দ্বীপে তেমন কোন খাদ্য শষ্য উৎপাদন করা সম্ভব হয় না।

.

দৈনন্দিন প্রয়োজনাদি জিনিসপত্র সব মহেশখালি থেকে ক্রয় করে আনতে হয়। দুই হাজার মানুষের বাস দ্বীপে নেই কোন দোকানপাট,চায়ের দোকান, মুদি দোকান, নেই কোন ফার্মেসী। অসুখ-বিসুখে কি করে এই দ্বীপের মানুষ জানতে চাইলাম এই গ্রামের জাফর আলম নামের এক ব্যক্তির কাছে। তার কাছে জানতে চাইলাম তাদের জীবন যাত্রা নিয়ে নানা বিষয়ে, সে জানালো, আমাদের এখানে ৫ম শ্রেণীর পর কারো আর লেখাপড়া করার সুযোগ নেই। তাই গ্রামটিতে শিক্ষার হার নগণ্য। নেই চিকিৎসা ব্যবস্হা, নাই কোন ঔষুধের ফার্মেসী। প্যারাসিটামর আর নাপা জাতীয় ঔষধ দিয়ে চলে যাচ্ছে জীবন।

.

আমাদের ইনকামের একমাত্র পথ সাগর থেকে চিংড়ি পোনা আহরোন। আর কাকঁড়া সংগ্রহ করে তা বিক্রি করা। আমাদের এই গ্রামে সরকারীভাবে কোন সাহায্য সহযোগীতা পাওয়া যায় না। তিনি বলেন, এই গ্রামে ৮০০ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে। কিন্তু সব কিছু থেকে আমরা বঞ্চিত। মহেশখালীর অপার সম্ভাবনাময় সোনাদিয়া দ্বীপ। এই দ্বীপের নামকরণের সঠিক কোনো ঐতিহাসিক তথ্য না থাকলেও জনশ্রুতিরয়েছে, স্থানীয়দের কাছে সোনা সমতুল্য দামি পণ্য প্রচুর মৎস্যসম্পদ আহরিত হতো বলে এই দ্বীপ সোনার দ্বীপ তথা সোনাদিয়া বলে পরিচিতি লাভ করে। দ্বীপটি সোনাদিয়া হিসেবে বর্তমান প্রজন্মের কাছে এবং পাঠ্যবইয়ে স্থান পেয়েছে। পর্যটনের জন্য সম্ভাবনাময় সোনাদিয়া দ্বীপ পরিকল্পিত উন্নয়নের অভাবে এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। এখানে উন্নয়নের কোন ছোয়াঁ লাগেনি।

.

বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়ায় ৪৯২৮ হেক্টর জমি রয়েছে। পূর্ব-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের উত্তাল ঢেউয়ের সাথে প্রতিনিয়ত মোকাবেলা করে টিকে থাকতে হয় সোনাদিয়া দ্বীপের বাসিন্দাদের। প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এ দ্বীপের দৃষ্টিনন্দন প্যারাবন জমির পরিমাণ প্রায় ২২০০ একর।

এ ছাড়া রয়েছে নৈসর্গিক সমুদ্র সৈকত। আকাঁবাকাঁ নদীর দুই ধারে সারি সারি ঝাউ গাছের দৃশ্য দেখে যে কেউ সুন্দর বন বলে ভুল করতে পারে। আর জেগে উঠা চরে হাজার হাজার লাল কাকঁড়ার দৃশ্য দেখে পুলকিত হয়ে যাবে মন। এসব দৃশ্য সোনাদিয়ার আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলেছে। তবে এত সম্ভাবনা থাকা

.

সত্ত্বেও এ দ্বীপে সরকারি বা বেসরকারিভাবে পর্যটন শিল্প বিকাশে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। তবে সরকার ইত্যেমধ্যে সোনাদিয়া দ্বীপে নতুন বন্দর করার পরিকল্পনা করেছে। এই সিদ্ধান্তে মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন সোনাদিয়া দ্বীপের মানুষ হয়তো একটি আশার আলো দেখতে পারে।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print