
চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এলাকায় সড়ক পরিবহনে পুলিশী হয়রানি বন্ধ না হলে আগামী ২৪ জুলাইয়ের পর বৃহত্তর আন্দোলনে যাবে চট্টগ্রামের সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিকরা।
আজ শনিবার (২২ জুলাই, ) বিকেলে নগরীর মোটেল সৈকতের হালদা কনফারেন্স হলে চট্টগ্রামের সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিকদের যৌথ মতবিনিময় সভায় পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এ ঘোষণা দেন।
জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের কার্যকরী সভাপতি হাজী জহুর আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি মনজুরুল আলম মঞ্জু।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মালিক গ্রুপের মহাসচিব আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সভাপতি মোহাম্মদ মুছা।
মতবিনিময় সভায় বক্তরা বলেন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রায় সবগুলো রাস্তার অবস্থা বেহাল। ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে গিয়ে প্রতিনিয়ত গাড়ির যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। সময়ের সাথে গতিহীনতার কারণে গাড়ির স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। সভায় পরিবহন মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে মহানগর এলাকার সড়কগুলো জরুরীভিত্তিতে সংষ্কার করে চলাচল উপযোগী করার জন্য সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের প্রতি দাবি জানানো হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, গাড়ির ফিটনেস কিংবা বিভিন্ন অযুহাতে গাড়ি জব্দ করা ও অন্যায়ভাবে মামলা দেওয়া হচ্ছে। সিএমপি ট্রাফিক বিভাগ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য সুকৌশলে গাড়ির মালিক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে হয়রানি করে মালিক শ্রমিকদের আন্দোলনের দিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, যা কোনভাবেই কাম্য নয়। এছাড়া মেট্রো আরটিসির বৈঠকে ২০ বছরের অধিক বয়সী গাড়ির চলাচল বন্ধে নেয়া সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করতে হবে। সভায় ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক টোকেন ও হয়রানি বন্ধ করার লক্ষ্যে আগামী ২৪ জুলাই সিএমপি কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়াসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে আন্দোলনে যাওয়ার মন্তব্য করা হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন, মাহবুবুল হক মিঞা, গোলাম রসুল বাবুল, হাজী ইউনুচ কোম্পানি, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, জাফর উদ্দিন চৌধুরী, অহিদুর নুর কাদেরী, সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, শ্রমিক নেতা রিটন মহাজন, মনসুর রহমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান, নাজিম উদ্দিন, শহীদ নাইম সুমন, কলিম উল্লাহ কলি, টিটু তালুকদার, রোবেল মহাজন, মো. শাহজাহান, মনির আহমদ, শহীদুল ইসলাম সমু, সিরাজউদৌল্লা নিপু প্রমুখ