ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

সিইসি নিরপেক্ষ নন, তিনি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করতেন: মির্জা ফখরুল

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

.

সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে সংলাপে অবিলম্বে সংসদ ভাঙাসহ নির্বাচনে ‘না’ ভোট ও সেনা মোতায়েনে নাগরিক সমাজের দেয়া প্রস্তাবকে অকুণ্ঠ সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি।

বিএনপির সমর্থনের বিষয়টি জানিয়ে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্বাচন কমিশনের ডাকা সংলাপে অংশ নিয়ে দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও বলেছেন নির্বাচন হতে হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। পাশাপাশি সেই নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে এবং তাদেরকে নির্বাচনকালীন ম্যাজিস্ট্রেসিয়াল ক্ষমতা দিতে হবে। যার মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় আমরা বিএনপি সঠিক।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপি বরবারেই বলে আসছে আগামী নির্বাচন সহায়ক সরকার ব্যতীত সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে না।’

মঙ্গলবার (০১ আগস্ট) রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদের হল রুমে এক প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু’র মুক্তির দাবিতে এ প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বরকত উল্লাহ বুলু মক্তি পরিষদ নামক একটি সংগঠন।

.

সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন এদেশে আর হবে না। সকল দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে। অন্যথায় জনগণ সেই নির্বাচন করতে দেবে না। বিএনপি ও জনগণ নির্বাচনে অংশ নেবে না। কারণ বর্তমান নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে জনগণকে ভুল বুঝিয়ে নীলনকশা বাস্তবায়নে। এবং সিইসি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি জনতার মঞ্চের লোক। নিরপেক্ষ নন। ফলে তার অধীনে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। হতে পারে না।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা থেকে সরানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই। তাই দেশনেত্রী খালেদা জিয়া সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির মাধ্যমে জনগণের পাশে মিশে যেতে বলেছেন। জনগণকে রাজপথের আন্দোলন সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধ করতে বলেছেন। আন্দোলনের পাশাপাশি নির্বাচনের মাধ্যমে এই অপশক্তিকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। কারণ আওয়ামী লীগ মিথ্যা মামলাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিরোধীদলকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে চাচ্ছে।’

সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘এরা (আওয়ামী লীগ) রাষ্ট্রযন্ত্র পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে আছে। গোটা দেশকে কারাগার বানিয়েছে। অনেকেই আবার কারাগারে না গিয়ে বন্দি অবস্থায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের হাতে শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধা পর্যন্ত কেউ নিরাপদ নয়।’

রামপাল প্রসঙ্গে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে আওয়ামী লীগ ও সরকার মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছে। গতকালও এর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি মিথ্যা কথা বলেছেন। দেশকে ধ্বংসের কাজে লিপ্ত হয়েছে তারা। আওয়ামী লীগ মিথ্যা কথা বলতে বলতে এখন বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার সত্য প্রতিবেদন নিয়ে মিথ্যাচার শুরু করেছে। জনগণের সামনে মিথ্যা ব্যাখ্যা দিচ্ছে।’

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা রুহুল কবির রিজভী, হাবিব উন নবী খান সোহেল, হারুণ অর রশিদ, আব্দুস সালাম আজাদ, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, শফিউল বারী বাবু, কাদের গনি চৌধুরী, মামুন হাসান ও আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print