
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতগড় মনছুরাবিল নয়াপপাড়া এলাকায় চাঁদা না পেয়ে সামাজিক বনায়নের পাহাড়াদার মনজুর আলমকে মারধরসহ নানা নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগ নেতা ও বনদস্যু ফজলে এলাহি আরজুর বিরুদ্ধে। আরজু লোহাগাড়া যুবলীগের লোহাগাড়া যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক।
আজ বুধবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন লোহাগাড়ার চুনতি ইউনিয়নের দক্ষিণ সাতগড় মনছুরাবিল নয়াপপাড়া প্রকাশ সাতের আগা গ্রামের সমাজের সর্দার ও সামাজিক বনায়নের পাহাড়াদার মনজুর আলম।
সংবাদ সম্মেলনে মনজুর বলেন, তিনি সামাজিক বনায়নের বন পাহাড়া দিচ্ছেন বিগত ১০ বছর যাবত। সম্প্রতি লোহাগাড়া যুব লীগের যুগ্ম আহবায়ক ফজলে এলাহি আরজুর বাহিনী বন দখল করতে না পেরে মনজুরের কাছে দু’লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে কিন্তু মনজুর চাঁদা না দেয়ায় তার নিজস্ব নার্সারির ৩৫ হাজার গাছ কেটে ফেলে রাতের আঁধারে। এছাড়া লুট করে নিয়ে যায় প্রায় আড়াই হাজার ফলজ গাছের ছারা। এর পর মসজিদের মিটিং এর নাম করে মনজুরকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তার কাছে থাকা মসজিদ ফান্ডের ৬৫ হাজার টাকা সহ প্রায় ৭০ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বনদস্যুরা। যাবার সময় মনজুরকে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
ঘটনাটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে বনদস্যুরা তার পরিবারকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। বর্তমানে তিনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান।
সংবাদ সম্মেলনে মনজুর উল্লেখ করেন স্থানীয় সন্ত্রাসী মোঃ সেলিম, নুর আহমদ, জাফর আহমদ, মোবারকসহ বনদস্যুরা তার আত্মীয় স্বজনকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। এ অবস্থায় তিনি জীবনের নিরাপত্তা দিতে এবং সামাজিক বনায়নের বন রক্ষা করতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন।