ফন্ট সাইজ

শেয়ার করুন

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print

নগরীর ৪৬টি কলেজের বিরুদ্ধে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে ছাত্রলীগের অভিযোগ

ছাত্রলীগের অভিযোগ মনযোগ দিয়ে পড়ছেন দুদক চেয়ারম্যান।

সংবাদটি পড়তে সময় লাগবে মিনিট

ছাত্রলীগের অভিযোগ মনযোগ দিয়ে পড়ছেন দুদক চেয়ারম্যান।

সরকারী নিয়ম নীতি তোয়াক্কা না চট্টগ্রাম মহানগরীতে একাদশ শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায়ে জড়িত এমন ৪৬টি কলেজের তালিকা দুদক চেয়ারম্যানের হাতে দিয়েছে ভর্তি বাণিজ্যের বিরুদ্ধে আন্দোলনরত বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

বুধবার বিকালে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের কাছে লিখত অভিযোগ হস্তান্তর করেন নগর ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

,

বিষয়টি নিশ্চিত করে রাতে নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজীম রনি রাতে পাঠক ডট নিউজকে বলেন-দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ নিজেই অভিযোগটি গ্রহণ করেছেন। তিনি বিষয়টিকে গুরুত দিয়ে দুদক চট্টগ্রামকে এ ব্যাপারে অনুসন্ধান করে ১০ দিনের মধ্যে তাঁকে (চেয়ারম্যানকে) অভিহিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

 উল্লেখ্য ইতোপূর্বে একই অভিযোগ ও তালিকা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল।

অভিযোগে নগর ছাত্রলীগ জানায়, বিগত ১০ মে ‘কলেজ ভর্তি দুর্নীতি’ রুখে দিতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে নগরীর ৬টি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ‘অভিযোগ বাক্স’ স্থাপন করে জনগনকে সম্পৃক্ত করেছিল বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর। এসব অভিযোগ বাক্সে নগরীর অর্ধশত কলেজের শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা ৩ হাজার টাকার অতিরিক্ত ভর্তি ফি আদায় করার লিখিত অভিযোগপত্র দেন। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের থেকে পাওয়া অভিযোগপত্রে নগরীর কলেজগুলোর ভর্তিতে বিভিন্ন অনিয়মের চিত্র আমাদের হাতে এসেছে। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, জেলা প্রশাসন ও শিক্ষা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কলেজগুলো নানা কৌশলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ফি আদায় করছে। কিছু কলেজে শিক্ষার্থীদের ফি ছাড়া আগে ভর্তি করানো হচ্ছে,পরে তাদের একটা নির্দিষ্ট তারিখে ভর্তি ফি জমা দেওয়ার জন্য টোকেন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার কিছু কলেজ সুকৌশলে শিক্ষার্থীদের থেকে দুই কিস্তিতে ভর্তি ফি নিচ্ছে।

চসিক পরিচালিত ২১টি কলেজে ২ কিস্তির ভর্তি ফি আদায় করা হয়েছে। সামরিক বাহিনী,পুলিশ, বেপজা, সিডিএ পরিচালিত সরকারী সংস্থারগুলোর অর্থে পরিচালিত বেসরকারী কলেজেও ভর্তি ফি নেওয়ার পরিমান দেখে মানুষ আজ আঁতকে উঠছে। আর কিছু কলেজে রশিদের মাধ্যমে প্রথমে একবার ফি নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটা সাদা কাগজে আরও কিছু অর্থের পরিমাণ লিখে তা নির্দিষ্ট একটি ব্যাংকে জমা দিতে বলা হয়েছিল। কিছু কলেজে সেশন ফি নামে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবী করে আগাম চিঠি দেওয়া হয়েছে।ড্রেস,খাতা,মানবিক তহবিল সহ শিক্ষক তহবিলেও ছাত্রদের কাছ থেকে এই অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। দু:খজনক হলেও সত্য মাননীয় বিভাগীয় কমিশনার, মাননীয় জেলা প্রশাসক,সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সদস্য,সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র, রাজনৈতিক দল সমূহের শীর্ষ নেতৃত্ব, প্রখ্যাত সাংবাদিক, বিশিষ্ট নাগরিকগন এমন অনেক অভিযুক্ত কলেজ পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্বে আছেন।

ভর্তি বাতিলের জন্য সরকারী নির্দেশনা মতে নির্দিষ্ট নিয়মে আবেদন করার পরও অনেক শিক্ষার্থীদের অর্থ ফেরত দেওয়ার নিয়ম মানেনি বেশীরভাগ কলেজ।দ্বাদশ শ্রেনীতে ভর্তি ফি নীতিমালা না থাকার কারনে আগামীতে আরো নতুন সংকট তৈরী হবে বলে আমরা শতভাগ নিশ্চিত হয়েছি। তাই আমরা দাবী করছি, চট্টগ্রাম মহানগরের জন্য সরকার নির্ধারিত ‘বেসরকারী কলেজের অভিন্ন ভর্তি ফি’ নীতিমালা ৩০০০ টাকা কার্যকর করা হউক।

অথবা ইতিমধ্যে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে জড়িত কলেজ গুলোকে শিক্ষার্থীদের কাছে টাকা ফেরত দেওয়ার দাবীতে আমরা দীর্ঘদিন যাবত আন্দোলন চালিয়ে আসছি। ইতিপূর্বে স্কুল ভর্তি নিয়ে আমাদের আন্দোলন ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা চট্টগ্রাম মহানগরে অতিরিক্ত স্কুল ভর্তি ফির অভিশাপ থেকে মুক্তি পেয়েছিল।

তা্র সরকার নির্ধারিত নীতিমালা অমান্যকারী সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহকে দূর্নীতিমুক্ত করে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করার আকুল আবেদন জানাচ্ছি।

সর্বশেষ

ঈদযাত্রা নিরাপদ করতে চট্টগ্রামে বিআরটিএ’র বিশেষ অভিযান ও সচেতনতামূলক কর্মসূচি

‘মানবিক করিডোর’ নিয়ে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা হয়নি: প্রেস সচিব

সিরিয়ার ঋণ শোধ করবে সৌদি-কাতার

ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ

প্রথম চুয়েটের রিফাত আল ইব্রাহিম ⦿কেএসআরএম অ্যাওয়ার্ড পেলেন তিন ভবিষ্যৎ স্থপতি

ভারত-পাকিস্তান ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে মধ্যস্থতা করতে চায় না বাংলাদেশঃ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

সন্ধ্যায় ওসমানী বিমানবন্দর থেকে প্রথমবারের মতো উড়াল দেবে কার্গো ফ্লাইট

Facebook
X
Skype
WhatsApp
OK
Digg
LinkedIn
Pinterest
Email
Print