
চট্টগ্রামে স্বামীকে গলাটিপে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচার করেও বাঁচতে পারলেন না গৃহবধূ শিরীন বেগম (৩০)। অবশেষে পুলিশের জেরারমুখে হত্যার দায় স্বীকার করেছে।
পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে আজ বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠালে শিরিন স্বামীকে হত্যার কথা স্বীকার করে চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম মেহনাজ রহমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়োজিদ বোস্তামী থানার শেরশাহ ঢেবারপাড় সোনালি নিবাস আবাসিক এলাকার বাসায় মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) গভীর রাতে এ হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটেছে।
শিরিনকে গ্রেফতার এবং আদালতে স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করে সিএমপির বায়োজিদ বোস্তামী থানার ওসি (তদন্ত) মো. মঈন উদ্দিন জানান, মঙ্গলবার গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে স্বামী আবু বক্কর সিদ্দীকের গলা চেপে ধরে শিরীন। বক্কর অজ্ঞান হয়ে গেলে তার ‘হার্ট অ্যাটাক’ হয়েছে বলে রাতেই তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে পেশায় রাজমিস্ত্রী সিদ্দীকের তার মৃত্যু হয়। নিহত সিদ্দিকের বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়।গর্মেন্টস শ্রমিক শিরিনের বাড়ি বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায়।
ওসি বলেন, সিদ্দিকের মরদেহ উদ্ধারের পর তার স্ত্রী প্রথমে জানায় সে আমাদের জানায় তার স্বামী আত্মহত্যা করেছে। পরে আবার বলছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তার কথাবার্তায় সন্দেহ হলে তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সে স্বামীকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে।
পুলিশ জানায়, সিদ্দিকের আগে শিরিনের একবার বিয়ে হয়েছিল। দ্বিতীয়বার সিদ্দিককে বিয়ে করলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা ছিল না।
আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে শিরীন জানায়, বক্কর তার দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামীর ঘরে তার পাঁচ ও সাত বছর বয়সী দুইটি সন্তান রয়েছে। প্রথম স্বামী মারা যাওয়ায় দেড় বছর আগে বক্করকে বিয়ে করে সে। স্বামী বক্কর তার মা-বাবার কাছে টাকা পাঠানো নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ হতো। মঙ্গলবার রাতে এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে ঝগড়া হলে বক্কর শিরীনকে মারধর করেন। এসময় শিরীন বক্করের গলা টিপে ধরলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। রাতে তার মা কে ডেকে এনে তাকে দিয়ে আবু বক্করকে হাসপাতালে পাঠায় শিরিন।
এ ঘটনায় বায়োজিদ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়।