
সুনির্দ্দিষ্ট কোন তথ্য ছাড়া রাস্তায় কোরবানির পশু বহনকারী কোন গাড়ী থামিয়ে তল্লাশী করা যবে না বলে জানিয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ। তবে শুধুমাত্র সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকলে সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) উপস্থিতিতে পশুবাহী গাড়ি তল্লাশী করা যাবে তাও কোন রকম হয়রানী করা যাবে না।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের উদ্যোগে ঈদুল আযাহা উপলক্ষে সড়কে ট্রাফিক ব্যবস্থা ও কোরবানীর পশুর হাটের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার (এসপি) নূরে আলম মিনা এ নির্দেশনার কথা জানান।
পশুবহী গাড়িতে আগে অনেক চাঁদাবাজি হতো উল্লেখ্য করে তিনি বলেন কোরবানির গবাদি পশু বহনকারী গাড়িতে পুলিশের কোন ধরণের চাঁদাবাজির সহ্য করা হবে না।
সভায় তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আযাহা উপলক্ষে গবাদি পশু বহনকারী কোন গাড়িকে সিগন্যাল দেওয়া যাবে না। এটা আমরা নিষেধ করেছি। তবে মিয়ানমার কিংবা টেকনাফ থেকে গবাদি পশু নিয়ে ট্রাক আসবে, সেই ট্রাকে যদি মাদক কিংবা এক্সক্লুসিভ কোন তথ্য থাকে তাহলে এএসপি এবং ওসির নেতৃত্বে টিম সে গাড়ি থামাবেন। কোন ধরনের হয়রানি না করে শুধু তল্লাশি করবেন। সড়কে গাড়িতে মামলা দিয়ে হয়রানি না করার জন্যও মাঠ পর্যায়ে কর্মরত পুলিশ সদস্যদের নির্দেশনা দিয়েছেন এসপি।
তিনি বলে সাধারণত রাস্তায় আমরা মামলা দিই না। হাইওয়ে পুলিশ মামলা দেয়। শুধুমাত্র সদর কিংবা পৌর এলাকায় সড়কের নিয়ন্ত্রণ আমাদের থাকে। হাইওয়ে পুলিশও মামলা দেবে, থানার পুলিশও দেবে, সেটা যেন না হয়। মামলা নিয়ে হয়রানিমূলক কোন কাজ আমরা করব না। আর চেকপোস্ট করে সিএমপি এবং হাইওয়ে পুলিশ। আমরা জেলা পুলিশ, আমরা কোন চেকপোস্ট করি না।
জেলা পুলিশ সুপারের কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রেজাউল মাসুদ ও একেএম এমরান ভূঁইয়া, পূর্বাঞ্চলীয় সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মৃণাল চৌধুরী, সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব মঞ্জুরুল আলম, জেলা সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মো. মুছা প্রমুখ।