
আজ ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ৩৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে নগরীর ষোলশহরস্থ ঐতিহাসিক বিপ্লব উদ্যানে পুস্পস্থবক অর্পন ও র্যালী পূর্বক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে অনুষ্ঠিত র্যালীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন-জাতি আজ দিশেহারা। জাতিকে মুক্তিদিতে হলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে হবে। দেশের মানুষ এই স্বৈরাচার হাসিনা সরকারের হাত থেকে মুক্ত হতে চায়। প্রতিনিয়ত গুম, খুন, নির্যাতন নীপিড়ন বেপরোয়া ভাবে চালিয়ে যাচ্ছে এই অবৈধ সরকার। গুম থেকে নিষ্কৃতি পচ্ছেনা এই দেশের ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও পেশাজীবি ও সাধারণ জনগন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে এবং নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অথিতি হেসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুর রহমান শামীম, সদস্য শামসুল আলম, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান। আরো উপস্থিত ছিলেন সহ সভাপতি এম.এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান, মোহাম্মদ আলী, হারুন জামান, নিয়াজ মোহাম্মদ খাঁন, আব্দুস ছাত্তার সরওয়ার, এম.এ হান্নান, উপদেষ্টা সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচির, হাজী নবাব খাঁন, যুগ্ন সম্পাদকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এস.এম সাইফুল আলম, কাজী বেলাল উদ্দীন, এসকান্দার মির্জা, আর.ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মঞ্জুর আলম মঞ্জু, আব্দুল মান্নান, বাবু টিংকু দাশ, গাজী মোহাম্মদ সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুর আলম মঞ্জু, কামরুল ইসলাম, হাজী মোহাম্মদ তৈয়ব সহ মহানগর বিএনপির নেতৃবৃন্দ, থানা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, ওয়ার্ড ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যা, মামলা-হামলা, ধর্ষণে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা অমানবিক নির্যাতন নীপিড়নের স্বীকার হচ্ছে। বাংলাদেশ একটি মানবাধিকার হরণের দেশ ও অনিরাপদ দেশে পরিণত হয়েছে। গুম ও অপহরনের সঙ্গে সঙ্গে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করছে এই অবৈধ সরকার। জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়ার পরও বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সম্পূর্ণ ভাবে হরণ করার অপচেষ্ঠায় লিপ্ত এই অবৈধ সরকার।